কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে তাঁর সুগারের মাত্রা আকাশ ছুঁইছুঁই। জেলে বসে তিনি নাকি আম, দই, কলা, মিষ্টি খেতে চাওয়ার জন্য হাঁসফাঁস করছেন এবং খাচ্ছেনও। এই নিয়ে ইডি আদালতে জানিয়েছিল যে তিনি এইসব ইচ্ছে করে করছেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি জামিন পেতে পারেন। প্রসঙ্গত আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির দাবি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর সুগারের মাত্রা ৩২০ পৌঁছে গিয়েছিল। ইডির গ্রেপ্তারি ও তিহার জেলে বন্দি হওয়ার পর প্রথম ইনসুলিন দেওয়া হল তাঁকে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, জেলবন্দি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বারবার ইনসুলিনের দাবি জানালেও তাঁর কথায় জেল কর্তৃপক্ষ কান দেয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। যদিও সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর ইনসুলিনের আবেদন খারিজ করে এবং চিকিৎসার সমস্ত ভার দেওয়া হয় দিল্লির এইমস হাসপাতালকে। তারাই কেজরিওয়ালকে পরীক্ষা করে ইনসুলিন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও আপের তরফে দাবি করা হয় তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ জেলেই তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে। এই নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভও দেখায় তিহাড় জেলের বাইরে। তাঁর স্ত্রীও একই অভিযোগ করেছেন। বাড়ির খাবার খেলেও ডাক্তারের দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনেই খেতে হবে তাঁকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।