অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি পেল। আজ, বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। বিশেষ বিচারক নিয়া বিন্দু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেজরিওয়ালের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ান।
এদিন আদালতে সওয়াল চলার সময় কেজরির জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। কেজরিওয়ালের আইনজীবী ইডির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের বিরোধিতা করে যুক্তি দেন, তাঁর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে পর্যাপ্ত কারণ নেই। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কেজরিওয়ালের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আদালত।
আদালতের এই নির্দেশের ফলে, আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপর থেকেই বেশ কয়েক মাস তিহার জেলেই ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গনগনে গরমের গ্রাসে দিল্লি! দু’দিনে মৃত ৫, লাইফ সাপোর্টে ১২
জেলে থাকাকালীনই বার বার জামিনের আবেদন জানাতে থাকেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ১০ মে নির্বাচনী প্রচার চালানোর জন্য কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে ২ জুন আত্মসমর্পণ করেন আপ সুপ্রিমো। সেদিন ১৯ জুন পর্যন্ত কেজরির জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
আত্মসমর্পণের আগে কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের মধ্যে না থাকলেও চিন্তা করবেন না। সমস্ত কাজ চালু থাকবে। আমি আপনাদের মধ্যে শারীরিকভাবে উপস্থিত নাও থাকতে পারি, তবে আপনারা কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না। কোনও কাজ বন্ধ হবে না। আমার মা-বাবার বয়স হয়েছে…যদি আপনারা প্রতিদিন আমার মায়ের জন্য প্রার্থনা করেন, তিনি নিশ্চিতভাবেই সুস্থ থাকবেন।
ভরা সভায় আচমকা মোদীর হাত ধরে টানলেন মুখ্যমন্ত্রী! কী হল তারপর?
দিল্লি আফগারি দুর্নীতি মামলায় ২১ মার্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তকারী সংস্থার মতে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অধুনা বাতিল আফগারি নীতির খসড়া তৈরি করতে এবং মদের লাইসেন্সের বিনিময়ে ঘুষ বা ঘুষ চাওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ১০০ কোটি টাকা গোয়া ও পঞ্জাবের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করেছিল আম আদমি পার্টি। আম আদমি পার্টি এবং কেজরিওয়াল এই গ্রেফতার ও মামলাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে অভিহিত করেছে। এই গ্রেফতারি ঘিরে বিজেপি এবং কংগ্রেস-আপ নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়ার মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।
বড় হোঁচট শুভেন্দুর, বিরোধী দলনেতার আর্জি খারিজ করল হাইকোর্ট