নয়াদিল্লি: তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে বিজেপি৷ আবগারি দুর্নীতির দায়ে তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছে৷ তবে আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত৷ আসন্ন দিল্লি বিধানসভা ভোটে জিততে মরিয়া প্রচার চালাচ্ছেন৷ এরই মধ্যে নির্বাচনের জন্য হলফনামা জমা দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ সেখানে তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান দেখে অনেকেই হতবাক৷
অভিযোগ, আবগারি দুর্নীতি থেকে ১০০ কোটি টাকারও বেশি পকেটে পুরেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কোভিডের সময়েও জনগণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর উপর৷ যদিও সে সব অভিযোগ ফুৎকারেই উড়িয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার হলফনামায় জানালেন, তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর থেকে বেশি।
নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেজরিওয়ালের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১.৭৩ কোটি টাকা। হাতে নগদ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা৷ ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে ২.৯৬ লক্ষ টাকা। তাঁর স্থাবর সম্পত্তির দামই সবচেয়ে বেশি৷ ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। তবে তাঁর নিজস্ব বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই। আয়ের উৎস শুধুমাত্রই বিধায়ক হিসাবে প্রাপ্ত বেতন৷
সপ্তাহ খানেক আগে বিজেপির তরফে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছিল বিজেপি’র তরফে। সেখানে অভিযোগ, কারি কারি টাকা নয়ছয় করে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের খোলনলচে বদলে ফেলেছিলেন কেজরিওয়াল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বাসভবনের জন্য বিলাসবহুল আসবাবপত্র কেনা থেকে ভবন সংস্কারের জন্য বিশাল অর্থ ব্যয় হয়েছিল বলে দাবি করা হয়৷ অভিযোগ, দুর্নীতির টাকায় সবটা করেছিলেন আপ সুপ্রিমো৷
বিজেপি দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলোর কাজে কম করে সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। মার্বেলের মেঝের জন্য খরচ হয়েছে ১.৯ কোটি, ইনস্টলেশন এবং মিস্ত্রিদের খরচ বাবদ ১.৫ কোটি, জিম-স্পা এবং বাথরুমের সরঞ্জামের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে৷ ভিডিয়োতে সেই ছবিও তুলে ধরা হয়৷ তবে বিজেপি’র দাবির সঙ্গে এক ফোঁটাও মিল খুঁজে পাওয়া গেল না কেজরির দেওয়া হলফনামার৷