মণিপুরকে রক্তাক্ত করে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি এমনই অভিযোগ উঠছে। গত দু বছরের বেশি সময় ধরে জাতি সংঘর্ষে শতশত নিহত। এই পরিস্থিতি রুখতে না পেরে পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এরপর প্রথম গ্রেফতার পাঁচ যুবক। যারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ফুটবল মাঠে হাসি মুখে ছবি তুলেছিল।
মণিপুর পুলিশ রাজ্যের কাংপোকপি জেলার একটি গ্রামে সাম্প্রতিক ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন “অত্যাধুনিক অস্ত্র” প্রদর্শনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মণিপুর পুলিশ জানায় ধৃতরা ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওর সাথে জড়িত ছিল। 10/15 জন দুর্বৃত্ত এবং ফুটবল কিট পরা কয়েকজনকে গামনোমফাই ভিলেজ গ্রাউন্ডে একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন অত্যাধুনিক অস্ত্র ধরে থাকতে দেখা গেছে।
জানা গেছে ওই ফুটবল ম্যাচটি নোহজাং কিপগেন মেমোরিয়াল প্লেগ্রাউন্ডে একটি ইভেন্টের অংশ হিসাবে খেলা হয়েছিল যাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশন এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুষ্ঠানে 300 জনেরও বেশি দর্শত উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওতে, ফুটবল খেলোয়াড়দের একে এবং আমেরিকান এম-সিরিজ অ্যাসল্ট রাইফেল বহন করতে দেখা যায়। কিছু বন্দুকের ব্যারেলের চারপাশে লাল ফিতে বাঁধা ছিল।
এরপরে মেইতেই হেরিটেজ সোসাইটি গত 6 ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ ফুটেজটি পোস্ট করে, কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি তদন্ত করার আহ্বান জানায়।
অভিযোগ, রাজ্যকে পুনরায় অশান্ত করার চেষ্টা করছে কুকিরা। তবে অভিযোগ খারিজ করেছে কুকি সংগঠন। তাদের পাল্টা দাবি, মেইতেইরা রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরির জন্য দায়ি। মু়খ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বীরেন সিং ও তার দল বিজেপি রাজ্যে জাতি সংঘর্ষ উসকে দেন। তার নামে একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে।
রক্তাক্ত মণিপুর শান্ত হয়ে যাচ্ছে বললেও প্রধানমন্ত্রী মোদী সে রাজ্য সফর করেননি। কেন মোদী মণিপুর যাচ্ছেন না প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রক্তাক্ত মণিপুর থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলেন।
ভারত-মায়ানমার সীমান্তের মণিপুর রাজ্য জাতি সংঘর্ষে বিভক্ত। এই সংঘর্ষের মধ্যে পড়েছেন এ রাজ্যে বসবাসকারী বহু বাঙালি। তারা মণিপুর ও অসমের আন্ত:রাজ্য সীমানা অঞ্চলের জিরিবামে বসবাস করেন। বিজেপি শাসনে রক্তাক্ত মণিপুর থেকে বাংলাভাষীরা বিতাড়িত বলে অভিযোগ।