Manipur: বিজেপি শাসনে চার্চ ভাঙার জেরে অশান্ত মণিপুর, প্রায় ১০ হাজার সেনা নামল

সেনা টহল চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর দশ হাজার জওয়ানের এত বড় মাপের টহল মণিপুরকে (Manipur) ঠাণ্ডা করবে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার থেকে সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর। নিহত কমপক্ষে কুড়ি জন।

সেনা টহল চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর দশ হাজার জওয়ানের এত বড় মাপের টহল মণিপুরকে (Manipur) ঠাণ্ডা করবে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার থেকে সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর। নিহত কমপক্ষে কুড়ি জন। পিটিআই জানাচ্ছে এই বিক্ষোভের (Manipur Violence) মাঝে বিভিন্ন পার্বত্য জেলা থেকে জঙ্গি গোষ্ঠী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বিরতিহীন বন্দুকযুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগ, উপজাতিদের উস্কে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি।

পিটিআই আরও জানাচ্ছে ইম্ফল উপত্যকা শান্তিপূর্ণ থাকলেও রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে প্রতিবেশি রাজ্যগুলি থেকে সড়ক ও আকাশপথে আরও সেনা জওয়ান আনা হয়েছে।

   

সংঘর্ষের মূল দুই পক্ষ মেইতেই ও কুকি। মেইতেই সম্প্রদায় প্রধানত ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। নাগা এবং কুকি আদিবাসী যারা পার্বত্য জেলার বাসিন্দা। এদের বেশিরভাগই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।

বিজেপি শাসিত রাজ্যটিতে পর পর চার্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে জ্বলন্ত পরিস্থিতি। এই বিতর্কের আগুন উস্কে দিয়েছে স্থানীয় মেইতেই গোষ্ঠিকে উপজাতি তালিকাভূক্তির উদ্যোগ। রাজ্যের একাধিক উপজাতি গোষ্ঠির অভিযোগ, মেইতেই জনগোষ্ঠীরা মণিপুরে সংখ্যাগুরু। তাদের উপজাতি সংরক্ষণ দিলে বাকিদের অবস্থা সঙ্গীন হবে। এছাড়া রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উপজাতিদের সরানোর অভিযোগ উঠেছে।

Fire-ravaged buildings in Manipur

এদিকে গত কয়েকদিনে সংঘর্ষের সময় মণিপুরের পাহাড়ি মানুষ অস্থায়ী জঙ্গল শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। পিটিআই জানাচ্ছে, তেমনই এক ঘরছাড়া হলেন ৬৭ বছর বয়সী আন্নু ডনগেল। তিনি এবং তার পরিবারের পাঁচজন সদস্য তাড়াহুড়ো করে কিছু চাল এবং কিছু বাসনপত্র নিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে পায়ে জঙ্গলে পালিয়ে যান। অন্ধকারে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেক করে ইম্ফলের ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি আদিবাসী গ্রাম বেথেল ছেড়ে চলে যান তারা। আপাতত তারা বাঁশের তৈরি অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকছেন। এরকম পরিস্থিতি বহু জনের।

সংঘর্ষ থামাতে সরকার নির্দেশ দিয়েছে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটাই শেষ উপায় বলছেন মণিপুরের ডিজিপি।