Sukhoi 30 Fighter Jet: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতে, কিছু দেশ পাকিস্তানের অসৎ উদ্দেশ্যকে সমর্থন করেছিল। আজারবাইজানও এই দেশগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন এই দেশটিও ক্রমাগত তার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। পাকিস্তান আজারবাইজানের কাছে ৪০টি JF-17 যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আজারবাইজানের প্রতিপক্ষ আর্মেনিয়ার জন্য এটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আর্মেনিয়া JF-17 বিমানের মোকাবিলায় ভারতে তৈরি একটি যুদ্ধবিমানের আশা করছে।
আর্মেনিয়া কোন যুদ্ধবিমান কিনতে চাইছে?
বিশেষজ্ঞ স্যাম লিচটেনস্টাইন বলেছেন যে আজারবাইজানের JF-17 যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করার জন্য আর্মেনিয়া ভারতের সুখোই-30 MKI যুদ্ধবিমান কেনার কথা বিবেচনা করছে। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনা এবং পরিবর্তিত সমীকরণের কারণে, আর্মেনিয়া ভারত থেকে জেট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘হোয়াইট এলিফ্যান্ট’-গুলোই ছিল প্রথমের যুদ্ধবিমান
আর্মেনিয়ার বায়ুসেনা বর্তমানে চারটি সুখোই-৩০ এসএম এবং ১৬টি সুখোই-২৫ বিমানের উপর নির্ভর করে। এগুলো স্থল আক্রমণে সক্ষম। ‘হোয়াইট এলিফ্যান্ট’ – পূর্বে যুদ্ধের প্রতীক ছিল। আর্মেনিয়ান বায়ুসেনা বর্তমানে চারটি Su-30 SM এবং 16টি Su-25 বিমানের উপর নির্ভর করে। এগুলো স্থল আক্রমণে সক্ষম।
কেন শুধু ভারতের সুখোই থেকে আশা করা হবে?
বিশেষজ্ঞ স্যাম লিচটেনস্টাইন বলেছেন যে সুখোই-৩০ এমকেআই আর্মেনিয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এটি রাফায়েলের মতো পশ্চিমি বিমানের তুলনায় সস্তা। এছাড়াও, ভারত আর্মেনিয়ার চাহিদা অনুযায়ী এই বিমানটিকে আপগ্রেড করতে পারে। এটি ভারতে তৈরি Astra Mk-1 আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং BrahMos-A ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হতে পারে।
ভারত ও আর্মেনিয়ার সম্পর্ক জোরদার
২০২০ সালের পর ভারত ও আর্মেনিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক দ্রুত জোরদার হয়েছে। আর্মেনিয়া ভারতের সাথে ২ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে আকাশ-১এস বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র।