Pollution: দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি আমলাদের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ আদালতের

News Desk: দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি আমলাদের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার (nv ramanna) নেতৃত্বাধীন…

Pollution

News Desk: দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি আমলাদের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার (nv ramanna) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে দূষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে।

বুধবার মামলার শুনানিতে বেঞ্চ বলে, দিল্লির বাতাসের গুণমান কিছুটা ভাল হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। দিল্লির (delhi) বাতাসে বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়েছে বলে আদৌ মনে হচ্ছে না। বরং আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দিনে দিল্লির বাতাসের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাই দূষণ (pollution) নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সকলেই চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু সরকারি আমলারা কী করছে সেটা জানা দরকার।

   

দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদেরও তো কিছু করা উচিত। ওনারা শুধু কৃষকদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলবেন এটা চলতে পারে না। কৃষকরা কেন ফসলের গোড়া পোড়াচ্ছেন সেটা তাঁদের কাছে গিয়ে দেখতে হবে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

nv ramana

এরই মধ্যে জানা গিয়েছে দিল্লির বাতাসের পরিস্থিতি গত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা ভালো হয়েছে। যে কারণে দিল্লির বাতাসের গুণমান অতিখারাপ পর্যায়ে থেকে খারাপে নেমে এসেছে। কিন্তু আদালত এদিন স্পষ্ট জানায়, এতে আত্মসন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই। দিল্লির বাতাসকে আমাদের যথাসাধ্য বিশুদ্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন আদালতে বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

ইতিমধ্যে একাধিক দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, কয়েকদিনের মধ্যেই বাতাসের গুণমানের উন্নতি হবে। সরকার পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। সাত দিন দিন বাদে বাতাসের গুণমানের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। সলিসিটর জেনারেলের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ পাল্টা জানতে চায়, সাত দিনের মধ্যে পরিস্থিতি খারাপ হলে কি হবে? দিল্লির দূষণ কমাতে প্রয়োজনে আরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে হতেই পারে।

একইসঙ্গে বেঞ্চ এদিন কেন্দ্র-দিল্লি সরকারের কাছে জানতে চায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে। প্রধান বিচারপতি রামান্না বলেন, দূষণ কিছুটা কমলেও এই মামলাটি বন্ধ হবে না। বরং এক থেকে দু’দিন অন্তর এই মামলার নিয়মিত শুনানি চলবে। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে ছোটখাটো কিছু পদক্ষেপ করে কোনও কাজ হবে না। দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা দরকার। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিকল্পনা নিয়ে ৭ দিনে দিল্লির বায়ুর উপর তার কী প্রভাব পড়ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। দিল্লি ও কেন্দ্র দুই সরকারই দূষণের জন্য কৃষকদের দায়ী করেছে।

এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, কৃষকরা কেন ফসলের গোড়া পোড়াচ্ছে সে ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সরকারি আমলাদের যেতে হবে কৃষকদের কাছে। এই সমস্যা যাতে দূর করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। শুধু কৃষকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিস্তার মিলবে না। সরকারি আমলাদের উচিত ঘরে বসে না থেকে কৃষকদের কাছে মাঠে চলে যাওয়া। ফসলের গোড়া না পুড়িয়ে কৃষকরা কিভাবে সেগুলি নষ্ট করবেন সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া।