AP: গাছে গাছে আদিবাসী মহিলার গণ আত্মহত্যা! এও এক প্রতিবাদ

জমি কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ। কাজু বাদাম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন আদিবাসীরা। অভিযোগ, কাজু চাষের সেই জমি কেড়ে নিচ্ছে একটি গ্রানাইট সংস্থা।গরিব চাষিদের ফসলও নষ্ট…

Tribal women stage mock suicide protest against cashew crop destruction

জমি কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ। কাজু বাদাম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন আদিবাসীরা। অভিযোগ, কাজু চাষের সেই জমি কেড়ে নিচ্ছে একটি গ্রানাইট সংস্থা।গরিব চাষিদের ফসলও নষ্ট করে দিচ্ছে। অভিনব উপায়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের একদল মহিলা। ওই মহিলারা প্রতীকি আত্মহত্যা (mock suicide) করলেন।

Advertisements

গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে গাছের ডালের সঙ্গে বেঁধে স্পষ্ট জানালেন, আত্মহত্যা করা ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই। এই ঘটনাটি ঘটেছে মাদুগুলা মণ্ডল নামে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি গ্রামে।

বিজ্ঞাপন

জানা গিয়েছে, মাদুগুলা মণ্ডল গ্রামের মহিলারা কাজুবাদামের চাষ করেন সংসার প্রতিপালন করেন। কিন্তু যে জমিতে তাঁরা চাষ করেন সেই জমির মালিকানার কোনও নথিপত্র তাঁদের নেই। সরকারের জমিতে তাঁরা এতদিন এই কাজু চাষ করে আসছেন। এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, সরকার তাঁদের চাষ করতে বলেছিল। সরকারের পরামর্শেই তাঁরা পড়ে থাকা ওই জমিতে চাষ শুরু করেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একটি গ্রানাইট সংস্থার লোকজন তাঁদের উৎখাত করতে চাইছে। ওই সংস্থাকে সাহায্য করছেন বেশ কিছু সরকারি অধিকারিক ও কর্মী। ওই সংস্থা জেসিবি মেশিন দিয়ে তাঁদের ফসল নষ্ট করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, কাজু চাষ বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তাঁরা পথে বসবেন। সংসার অচল হয়ে যাবে। সে কারণেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং গ্রানাইট সংস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শাড়ির এক প্রান্ত গাছের ডালে বেঁধে অপর প্রান্ত গলায় ফাঁস দিয়ে বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছেন ওই মহিলারা। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে জেলা শাসকের অফিসের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।

গ্রানাইট সংস্থার পাল্টা দাবি, জমি অধিগ্রহণের আগে ওই গ্রামবাসীদের অনেক টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামবাসীরা সংস্থার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। গ্রামবাসীরা বলেছেন, তাঁরা কারও কাছ থেকেই কোনও টাকা নেননি। জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের ওই সরকারি জমির ডি পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশে অব্যবহৃত সরকারি জমি চাষের জন্য স্থানীয়দের দেওয়া হয়। যাঁদের কোনও জমিজমা নেই তাঁরাই এই ডি পাট্টা পেতে পারেন।