Anti-India propaganda: পাক-মদতপুষ্ট ২০টি ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: লাগাতার ভারত বিরোধী (anti-india propaganda) প্রচার চালানোর কারণে পাকিস্তানের (pakistan) মদতপুষ্ট ২০টি ইউটিউব চ্যানেল ও দু’টি ওয়েবসাইটকে (website) নিষিদ্ধ করল নরেন্দ্র মোদী…

YouTube channels

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: লাগাতার ভারত বিরোধী (anti-india propaganda) প্রচার চালানোর কারণে পাকিস্তানের (pakistan) মদতপুষ্ট ২০টি ইউটিউব চ্যানেল ও দু’টি ওয়েবসাইটকে (website) নিষিদ্ধ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার(modi goverment)।

সম্প্রতি এই চ্যানেলগুলি থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত ভারত বিরোধী জোরদার প্রচার চলছিল। যার মধ্যে কাশ্মীর যেমন ছিল তেমনই ছিল রামমন্দির এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সংক্রান্ত বিভিন্ন খবর। এমনকী, সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু নিয়েও বিভিন্ন ধরনের ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছিল।

   

এই ধরনের আজগুবি ও উস্কানিমূলক খবর যে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ইউটিউব চ্যানেল থেকেই প্রচার করা হচ্ছে সেটা প্রথমদিকে বোঝা যায়নি। পরে সাইবার বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করে জানতে পারেন, এই ইউটিউব চ্যানেলগুলি পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ওই ঘটনার জেরে ২০টি ইউটিউব চ্যানেল ও দুটি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইট লাগাতার ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছিল। যেগুলো ছিল অত্যন্ত উস্কানিমূলক। সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু নিয়েও নানা আজগুবি খবর ছড়ানো হচ্ছিল। এমনকী, ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কেও অনেক ভুল খবর প্রচার করছিল ওই চ্যানেলগুলি। তারপরই নড়েচড়ে বসে সরকার। বিষয়টি নিয়ে সরকার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, পাকিস্তান থেকেই এই চ্যানেলগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নয়া পাকিস্তান গ্রুপ বা এনপিজি নামে একটি গোষ্ঠী ওই চ্যানেলগুলি পরিচালনা করছিল। একইসঙ্গে পাকিস্তান থেকে চালু করা হয়েছিল দুটি ভারতবিরোধী ওয়েবসাইট। ওই চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটগুলি লাগাতার ভারতবিরোধী খবর প্রচার করে চলছিল। এই সমস্ত চ্যানেলগুলির সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর উদ্দেশ্যেই এই চ্যানেলগুলি খোলা হয়েছিল। পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উস্কানি দিতে এই চ্যানেলগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের মদত জোগাতে এই চ্যানেল ও ওয়েবসাইটগুলির বিশেষ ভূমিকা ছিল।