মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) ফের মৃত্যু হল চিতার। এই নিয়ে গত পাঁচ মাসে নবম চিতার মৃত্যু হল। বুধবার কুনো জাতীয় উদ্যানের পার্কের পক্ষের তরফে বলা হয়েছে, সকালে ধত্রি নামে এক স্ত্রী চিতার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তার জন্য দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
কুনো পার্কে পরপর চিতার মৃত্যুতে পশুপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ। অভিযোগ, মোদীর চাপে পরিকাঠামো না করেই চিতা নিয়ে আসা উচিত হয়নি।
চিতাগুলির শরীরে রেডিয়ো কলার ব্যবহার নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। চিতা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কলারগুলি বর্ষাকালে একটানা ভিজে থাকার ফলে চিতাদের ত্বকে সংক্রমণ হচ্ছে। এই সংক্রমণ থেকে সেপ্টিসেমিয়া বা রক্তের গুরুতর সংক্রমণ হচ্ছে চিতাগুলির।
উল্লেখ্য, ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে, মোদী সরকারের ‘প্রোজেক্ট চিতা’র আওতায় নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোট ২০টি প্রাপ্তবয়স্ক চিতা আনা হয়েছিল। কুনো জাতীয় উদ্যানে তাদের রাখা হয়েছিল। ভারতে নতুন করে চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি করাই ছিল লক্ষ্য।
কুনো জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকা থেকে আসা চিতাগুলি চারটি শাবকের জন্মও দিয়েছিল। তবে, গত কয়েক মাসে একের পর এক চিতার মৃত্যু হয়েছে। গত মাসেও মাত্র চার দিনের ব্যবধানে কুনো জাতীয় উদ্যানে দুটি পুরুষ চিতার মৃত্যু হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, তেজস নামক চিতার দেহের ময়নাতদন্তে জানা গেছিল, এক মহিলা চিতার সঙ্গে তার তীব্র লড়াই হয়েছিল। সেই লড়াইয়ের মানসিক এবং শারীরিক আঘাত থেকে আর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি সে। অন্যান্য প্রাণীর আক্রমণ এবং হিটস্ট্রোককেও চিতাগুলির মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করেন পশু চিকিৎসকরা।