CAA বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ উধাও!

সিএএ (CAA) হতেই উত্তাল হয়েছিল দেশ। বিক্ষোভ, অবরোধ, আগুন, ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি ধংস- অনেক কিছুই দেখা গিয়েছে। সেই আইন লাগু হওয়ার পর সেই ছবি দেখা…

সিএএ (CAA) হতেই উত্তাল হয়েছিল দেশ। বিক্ষোভ, অবরোধ, আগুন, ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি ধংস- অনেক কিছুই দেখা গিয়েছে। সেই আইন লাগু হওয়ার পর সেই ছবি দেখা যাচ্ছে না।

সিএবি অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে এখন তা আইন। নাম- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। এ নিয়ে নানা বিতর্ক। বিরোধীদের চড়া সুর। শাসকের পালটা হুংকার এবং দৃঢ়তা। লোকসভা ভোটের মুখে এ নিয়ে পারদ চড়ছে। তবে সিএএ বিরোধিতা যেন এখন অনেকটাই ম্লান।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর। সংসদে পাস বিল। নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তোলপাড় দেশ। কলকাতার পার্ক সার্কাসে তুলকালাম। হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় আগুন জ্বলে। মালদা-মুর্শিদাবাদেও তুলকালাম। ট্রেনে আগুন। স্টেশনে ভাঙচুর। বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি ধংস।

এই আইনের জেরে ভয়ানক দাঙ্গা দেখেছে রাজধানী দিল্লি। আন্দোলন ঘিরে শাহিনবাগে ধুন্ধুমার। ভারতের আইনের প্রতিবাদে বিদেশেও আন্দোলন হয়েছে। করোনার জেরে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে ভাটা পড়ে। আইন প্রণয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতাও কমে। তবে আইন নিয়ে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই হুংকার জারি রেখেছিল।

সেই সুবাদেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে সিএএ আইন লাগু হলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ মাধ্যমে জানান যে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে সিএএ লাগু হবে। তারপর বিভিন্ন রাজ্য সরকার সতর্ক হতে শুরু করে। পুলিশের পক্ষ থেকেও সতর্কতা নেওয়া হয়। এরই মাঝে দেশজুড়ে লাগু সিএএ। শাসকের উচ্ছ্বাস আছে। বিরোধীদের পালটা মানছি না, মানব না হুংকারও আছে। তবে আন্দোলনের ঝাঁঝ আর আগের মতো নেই।