Earthquake: ফের ভূমিকম্প হিমালয়-হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকায়, লাদাখে আতঙ্ক

মঙ্গলবার ভোররাতে লাদাখে রিখটার স্কেলে ৩.৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake) হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে, কম্পন অনুভূত হয় ভোর ৫:৩৯ নাগাদ। ভূমিকম্পটি ছিল ৫…

Illustration of an Earthquake

মঙ্গলবার ভোররাতে লাদাখে রিখটার স্কেলে ৩.৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake) হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে, কম্পন অনুভূত হয় ভোর ৫:৩৯ নাগাদ। ভূমিকম্পটি ছিল ৫ কিলোমিটার গভীরে। হিমালয় সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা ও সীমান্তের ওপারে হিন্দুকুশ পর্বতমালা অঞ্চলেও কম্পন ধরা পড়েছে।

সম্প্রতি ঘনঘন ভূমিকম্প হচ্ছে ভারত,নেপালের হিমালয় অঞ্চলে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দিকে ছড়ানো কারাকোরাম, হিন্দুকুশের অঞ্চলেও বারবার ভূমিকম্প হয়েছে। অতি সম্প্রতি গত ১১ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে কম্পন ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল দিল্লিতে।ভূমিকম্পের নিরিখে রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রা পার করলেই তীব্র কম্পন ধরা হয়। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ৬.২ মাত্রার কম্পন তীব্র। 

হিমালয়ের অঞ্চলে বড় ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা করেছেন ভূবিশেষজ্ঞরা। নেপাল, ভারতের উত্তরাংশ, পশ্চিমাঞ্চল, পাকিস্তান, চিন, আফগানিস্তানে ভূমিকম্প এখন প্রায়ই ঘটে। গবেষণায় বলা হয়েছে মাটির নিচে প্রবল সংঘর্ষ চলছে দুটি ভূ-স্তরের। সেই কারণে বারবার হিমালয় এলাকার নেপাল ও ভারতের অংশে মাটি দুলছে। ভূ-বিজ্ঞানীরা সতর্কতা জারি করছেন হিমালয় অঞ্চলে একটি বিশাল ভূমিকম্প যা ৮.৫ মাত্রার হতে পারে।
   
গবেষণা ইঙ্গিত করেছে যে ৮.৫ এবং ৯ মাত্রার মধ্যে আনুমানিক একটি বিপর্যয়কর ভূমিকম্প, ১৪ এবং ১৫ শতকের মধ্যে হিমালয়ে ঘটেছিল। এর ফলে ৬০০ কিলোমিটার ভূমি চিরে দু-ফাঁক হয়ে গেছিল। তবে কেন্দ্রীয় হিমালয়ে ঘন ঘন কম-তীব্রতার ভূমিকম্প হওয়া সত্ত্বেও, কয়েক শতাব্দী ধরে কোনও বড় ভূমিকম্পের কার্যকলাপ হয়নি। উল্লেখযোগ্য কম্পনের এই অনুপস্থিতির মানে এই অঞ্চলে একটি উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি হচ্ছে যার ফলে পরবর্তীকালে একটি বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে।