অমৃতসর সীমান্তে ৩টি সন্দেহভাজন হেরোইন প্যাকেট উদ্ধার BSF’র

পাঞ্জাবের অমৃতসর সীমান্তে বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) শুক্রবার একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। বিএসএফের (BSF) টহলদার বাহিনী অমৃতসর জেলার সীমান্তবর্তী কৃষি জমি থেকে তিনটি প্যাকেট…

amritsar-border-3-suspected-heroin-packets-recovered-bsf

short-samachar

পাঞ্জাবের অমৃতসর সীমান্তে বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) শুক্রবার একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। বিএসএফের (BSF) টহলদার বাহিনী অমৃতসর জেলার সীমান্তবর্তী কৃষি জমি থেকে তিনটি প্যাকেট সন্দেহভাজন হেরোইন উদ্ধার করেছে। বিএসএফের পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ার তাদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রায় সকাল ৪:৩০ নাগাদ এই উদ্ধারকাজ চালানো হয়।

   

বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিনটি প্যাকেটের মোট ওজন ছিল ১.৬৭৮ কিলোগ্রাম। দুটি প্যাকেট হলুদ আঠালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল, আর তৃতীয়টি স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো ছিল। প্রতিটি প্যাকেটের সঙ্গে একটি উন্নত তামার তারের লুপ যুক্ত ছিল। এটি থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, মাদক কারবারিরা কোন বিশেষ প্রযুক্তি বা পদ্ধতি ব্যবহার করে এই হেরোইন পাঠাতে চেয়েছিল। বিএসএফের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, এই উদ্ধার অভিযান সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে করা হয় এবং এটি মাদক চোরাচালান রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বিএসএফ (BSF) আরও জানিয়েছে যে, একদিন আগে ১৩ই মার্চ, ২০২৫-এ তারা এবং পাঞ্জাব পুলিশ একসঙ্গে একটি যৌথ অভিযান চালিয়ে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করতে সফল হয়েছিল। তারা টার্ন টার্ন জেলার সীমান্ত এলাকায় মাদক উদ্ধার করে। বিএসএফের মতে, এই মাদক সম্ভবত ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে আনা হয়েছিল, কারণ প্যাকেটের সঙ্গে একটি তামার তারের লুপ সংযুক্ত ছিল, যা ড্রোন ড্রপিংয়ের নিদর্শন।

বিএসএফ (BSF) কর্মকর্তারা জানান, টার্ন টার্ন জেলার সীমান্তে ১৩ই মার্চ রাত ৭:২০ নাগাদ একটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়, যার মোট ওজন ছিল ৫৪৯ গ্রাম। এই প্যাকেটের সঙ্গে তামার তারের লুপ থাকার কারণে পুলিশের ধারণা, এটি ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে আনা হয়েছে। বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের যৌথ অভিযান এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে মাদক পাচারের এই চেষ্টাকে ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে।

বিএসএফ (BSF) তাদের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেছে যে, এই অভিযান সীমান্তে মাদক পাচারের রুখে দেওয়ার একটি বড় পদক্ষেপ। তারা বলেন, “পাঞ্জাবের সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে এবং বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।”

পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্প্রতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে, কারণ মাদক চোরাচালানকারীরা নতুন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে মাদক পাঠানোর চেষ্টা করছে। তবে, বিএসএফ (BSF) এবং পাঞ্জাব পুলিশ যৌথভাবে এমন চেষ্টাগুলি প্রতিহত করতে সফল হয়েছে, যা এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়ক।

এদিকে, এই ঘটনায় বিএসএফের প্রশংসা করে পাঞ্জাব পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, “এই ধরনের অভিযান আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করেছে। মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।”

এই ধরণের অভিযান সীমান্তে মাদক চোরাচালান রোধে নতুন নজির সৃষ্টি করেছে এবং এটি নিশ্চিত করেছে যে, বিএসএফ (BSF) এবং পাঞ্জাব পুলিশ মাদক পাচারের বিরুদ্ধে একযোগভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।