Sedition Law: দেশদ্রোহ আইন তুলে দিতে তৈরি মোদী সরকার, নতুন আইন নিয়ে বিতর্ক

শুক্রবার লোকসভায় দেশদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রস্তাব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় লোকসভায় দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে তিনটি…

শুক্রবার লোকসভায় দেশদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রস্তাব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় লোকসভায় দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে তিনটি বিল পেশ করেন। আইনগুলোর ব্যাখ্যার সময় রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন ভারতীয় দণ্ডবিধি সংক্রান্ত নতুন বিল আনা হবে। এই বিলের সাহায্যে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ সম্পূর্ণভাবে উৎখাত করা হবে বলে জানান তিনি। লোকসভায় ভারতীয় দণ্ডবিধি (Indian Penal Code), ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (Criminal Procedure Code) ও ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের (Indian Evidence Act) বদলে তিনটি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

লোকসভায় আইনের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় অমিত শাহ বলেন, “এই আইনের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের মতো আইন উৎখাত করা হবে। ১৮৬০ থেকে ২০২৩ সাল অবধি দেশের অপরাধমূলক বিচার প্রক্রিয়া ব্রিটিশদের তৈরি আইনের উপরে ভিত্তি করেই হত। এই নতুন তিনটি বিল দেশের বিচারব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনবে।” রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে অমিত শাহ বলেন, “আমরা যে বিল আনতে চলেছি, তাতে রাষ্ট্রদ্রোহের মতো আইন উৎখাত করা হবে। এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এখানে রাষ্ট্রদ্রোহের মতো আইন থাকতে পারে না।”

রাষ্ট্রদোহ আইন কী?

124A. রাষ্ট্রদ্রোহ বা দেশদ্রোহী আইনে যে কেউ, কথার দ্বারা, হয় কথিত বা লিখিত, বা লক্ষণ দ্বারা, বা দৃশ্যমান উপস্থাপনা দ্বারা, বা অন্যথায়, ঘৃণা বা অবমাননা আনতে বা আনার চেষ্টা করে, বা উত্তেজিত করে বা অসন্তোষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে, ১০২ [*] ও ১০৩ [ভারত] আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকার, [*] ১০৪ [আজীবন কারাদণ্ড] শাস্তি পাবে, যার সাথে জরিমানা যোগ করা যেতে পারে, বা কারাদণ্ড যা তিন বছর পর্যন্ত হতে পারে, যার সাথে জরিমানা যোগ করা যেতে পারে।

আইনটির ব্যাখ্যা ১—অভিব্যক্তি “বিতৃষ্ণা” এর মধ্যে রয়েছে আনুগত্য এবং শত্রুতার সমস্ত অনুভূতি।

ব্যাখ্যা ২ — উত্তেজনাপূর্ণ বা ঘৃণা, অবমাননা বা অসন্তোষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা না করে আইনানুগ উপায়ে তাদের পরিবর্তন করার লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্তব্যগুলি এই ধারার অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হয় না।

ব্যাখ্যা ৩ — উত্তেজনাপূর্ণ বা ঘৃণা, অবমাননা বা অসন্তোষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা না করে প্রশাসনিক বা সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্তব্যগুলি এই ধারার অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হয় না।