রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারাত্মক জখম BJP সমর্থকরা, মারধরে অভিযুক্ত CPIM

রাত থেকেই নতুন করে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। শাসক বিজেপি (BJP) বনাম বিরোধীদল সিপিআইএমের (CPIM) মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে গুরুতর জখম অন্তত ৫ জন। ঘটনার…

রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারাত্মক জখম BJP সমর্থকরা, মারধরে অভিযুক্ত CPIM

রাত থেকেই নতুন করে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। শাসক বিজেপি (BJP) বনাম বিরোধীদল সিপিআইএমের (CPIM) মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে গুরুতর জখম অন্তত ৫ জন।

ঘটনার জেরে আতঙ্কিত বিজেপি সমর্থক পরিবারগুলি। আগরতলা জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, সিপিআইএমের তরফে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থল আমজাদ নগর। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম।

   

শনিবার রাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষের পর রবিবার নতুন করে সংঘর্ষ ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

ত্রিপুরায় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পুর নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হয়েছিলেন বাম ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। নির্বাচনে একতরফা জয় পায় বিজেপি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বাড়ে। আর বিরোধী দল সিপিআইএম বিরোধী অবস্থানের ভোট শতাংশ ধরে রাখে। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে আরও রাজনৈতিক সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisements

এদিকে দলীয় কোন্দলে জর্জরিত ত্রিপুরা বিজেপি। সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিতে চলেছেন রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়করা বলে গুঞ্জন।

বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়কদের নেতা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ বনাম মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। দুজনেই পরস্পরকে আক্রমণ করে চলেছেন।

শনিবার বিজেপি বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে বিধায়ক নিবাসে বিশেষ বৈঠক করেন সুদীপবাবু। এই বৈঠক ঘিরে ত্রিপুরা সরগরম। বৈঠক শেষে সুদীপ রায়বর্মণ জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ মঞ্চ গঠন করা হবে। সেই মঞ্চ ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেবে।