Loksabha Election 2024: বাংলাদেশিতে ছয়লাপ আগরতলা! ক্যামেরার সামনেই রিগিং

নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘ছাপ্পা’ ভোটের একাধিক অভিযোগে সরগরম ত্রিপুরা। রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসন ও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রিগিং’…

নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘ছাপ্পা’ ভোটের একাধিক অভিযোগে সরগরম ত্রিপুরা। রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসন ও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রিগিং’ অভিযোগ করল প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম। আর ভোট দিয়ে রিগিংকে কটাক্ষ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বললেন, ‘আমার ভোট কে হরণ করবে’। তাঁর এমন মন্তব্যে ত্রিপুরা সরগরম। যদিও নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।

ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনের মধ্যে পশ্চিম কেন্দ্রে বিজেপি বনাম বাম-কংগ্রেস জোটের লড়াই। জোটের কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহার অভিযোগ, ভোট শুরু হতেই ছাপ্পা শুরু হয়। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে পরপর নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হতে থাকে। একাধিক বুথে রিগিংয়ের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। রিগিং অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। আর রিগিংয়ে জড়িত, ভোটারদের হুমকি এবং জোর করে ক্যামেরা বন্ধ করার অভিযোগে বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে অস্বস্তিতে বিজেপি।

   

পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। গত ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক হিংসায় বাইক বাহিনীর মদত দেওয়ায় তিনি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিজেপি। ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। শাসকদল হয় বিজেপি। রাজনৈতিক হামলায় রক্তাক্ত ত্রিপুরা ছিল দেশে অন্যতম চর্চিত রাজ্য।

অভিযোগ, ২০১৮ পরবর্তী সময়ে ত্রিপুরায় যত নির্বাচন হয়েছে তাতে প্রতিবেশি রাজ্য অসম, মিজোরাম ও পড়শি দেশ বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকহারে অনুপ্রবেশকারীরা ভোট লুঠে অংশ নেয়। তাৎপর্যপূর্ণ, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে রাজধানী শহর আগরতলায় বাংলাদেশিদের অত্যাধিক ভিড়। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হোটেলগুলির মধ্যে বহিরাগতরা ছিল। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের রিটার্নিং অফিসার বৃহস্পতিবার বিকেলে আগরতলার মেলারমাঠ ও বোধজং স্কুল সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালায়। কথাবার্তায় অনিয়ম পেয়ে রেজিস্টার ভুক্ত খাতা তদারকি করে রিটানিং অফিসার প্রত্যক্ষ করেন হোটেলগুলিতে থাকা ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি। হোটেল কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে হোটেলের মধ্যে থাকছে। বিতর্ক প্রবল।