Terrorism: ভারতে আল কায়েদা ও বাংলাদেশি জঙ্গি নেটওয়ার্ক বানচাল, ধৃত একাধিক জঙ্গি

অসমে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য। এ্যান্ড অভিযানে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান উপমহাদেশ (একিউআইএস) এবং বাংলাদেশ ভিত্তিক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Terrorism)…

অসমে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য। এ্যান্ড অভিযানে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান উপমহাদেশ (একিউআইএস) এবং বাংলাদেশ ভিত্তিক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Terrorism) সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রাজ্যের মাদ্রাসার শিক্ষকও ছিলেন বলে খবর।

এবিটি জঙ্গি সংগঠনটি বাংলাদেশ এখন আনসার আল ইসলাম নাম নিয়ে চলে। তাদের মূল লক্ষ্য বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদীদের খুন করা। একাধিক বাংলাদেশি যুক্তিবাদী খুনে জড়িত এই সংগঠন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের অন্যত্র এবিটি তাদের পুরনো নামে সংগঠন সক্রিয় রেখেছে।

   

অসম পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মরিগাঁও, বরপেটা, গুয়াহাটি ও গোয়ালপাড়া জেলা থেকে যে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে, তারা একিউআইএস ও এবিটি’র সঙ্গে যুক্ত। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যের ‘জিহাদি মডিউল’-এর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই গ্রেফতারি থেকে অনেক গোপন তথ্য মিলবে।

হিমন্ত বলেন, ‘গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত আমরা রাজ্যের বরপেটা ও মরিগাঁও জেলায় দুটি জিহাদি মডিউল আটক করেছি এবং জিহাদি মডিউলের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করেছি। জাতীয় পুলিশ সংস্থাগুলির সাথে এই সমন্বিত পদক্ষেপটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা ছিল এবং আমরা ধৃতদের কাছ থেকে আরও অনেক তথ্য পাব”।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় অভিযুক্ত মুস্তাফা ওরফে মুফতি মুস্তাফা মোরিগাঁও জেলার সাহারিয়া গাঁওয়ের বাসিন্দা এবং আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টে (একিউআইএস) এর সাথে যুক্ত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সক্রিয় সদস্য।

তিনি ভারতের এবিটি মডিউলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এর মাধ্যমেই চলত অর্থ আদান প্রদান। পুলিশ জানিয়েছে যে মুস্তাফা সাহারিয়া গাঁও গ্রামে একটি মাদ্রাসা (জামিউল হুদা মাদ্রাসা) পরিচালনা করত।