UP: বিধানসভা নির্বাচনের আগে চড়া হিন্দুত্বের তাস খেললেন যোগী

News Desk: আগামী বছরের শুরুতেই উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। যোগী আদিত্যনাথের সরকার উত্তরপ্রদেশে উন্নয়নে সর্বতোভাবে ব্যর্থ। এই অবস্থায়…

yogi adityanath

News Desk: আগামী বছরের শুরুতেই উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। যোগী আদিত্যনাথের সরকার উত্তরপ্রদেশে উন্নয়নে সর্বতোভাবে ব্যর্থ। এই অবস্থায় পুনরায় গোবলয়ের বৃহত্তম রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরতে চড়া মেরুকরণকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তাই চড়া হিন্দুত্বের তাস খেললেন মুখ্যমন্ত্রী।

অযোধ্যায় এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগের সরকার এখানে সরকারি টাকা শুধু কবরস্থানের পিছনে খরচ করত। কিন্তু এখন সরকারি টাকা খরচ হয় মন্দির তৈরি এবং মন্দিরের উন্নয়নের কাজে। আগের সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের এটাই চিন্তাভাবনার ফারাক।

   

যোগী এদিন সরাসরি হিন্দু-মুসলিম শব্দ উচ্চারণ না করলেও তাঁর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় কাজে কোনও রকম অর্থ ব্যয় করা হবে না। যাবতীয় অর্থ খরচ করা হবে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের জন্য। যোগী বলেন, আগের সরকার শুধুমাত্র সামান্য কিছু মানুষের কথাই ভাবত। তাই তারা টাকা খরচ করত কবরস্থানের জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার মন্দিরের কথা চিন্তা করে। দেশের সংস্কৃতি, সুপ্রাচীন ঐতিহ্য, ধর্মের কথা চিন্তা করে। সেজন্যই তারা মানুষের টাকা মন্দির তৈরিতে এবং উন্নয়নের কাজে খরচ করে।

চড়া হিন্দুত্বের তাস খেলতে গিয়ে যোগী আরও বলেন, আজ থেকে ৩০ বছর আগে এদেশে করসেবা করলে গুলি চালানো হত। কিন্তু আগামী দিনে করসেবা করা হলে গুলি চলবে না। বরং পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। আগের সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের তো এটাই তফাৎ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি তথা যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সব ধরনের ধর্মীয় রীতিনীতি আচার পালনের জন্য সরকারি অর্থ ব্যয় করা হবে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এভাবে সরকারি টাকা কি কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের জন্য ব্যবহার করা যায়? সরকারি টাকা কবরস্থানের পিছনে ব্যয় করা যদি অনৈতিক হয় তাহলে মন্দির ক্ষেত্রে ব্যবহার করাও তো একই দোষে দুষ্ট। তাহলে কিভাবে যোগী এ ধরনের কথা বললেন?

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশকে উত্তমপ্রদেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন যোগী। কিন্তু উত্তমপ্রদেশ নয়, উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাকে অধমপ্রদেশে পরিণত করেছে। যোগী স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, কাজের নিরিখে ভোট চাইলে তাঁর মুখ পুড়বে। ক্ষমতায় ফেরা তো দূরের কথা, মুখ লুকনোর জায়গাও পাবেন না তিনি। সে কারণে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে গোবলয়ের এই বৃহত্তম রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে ধর্মকেই হাতিয়ার করেছেন যোগী। মেরুকরণকেই ভোটে জেতার অস্ত্র বলে মনে করছেন তিনি। তবে এরপরেও যোগী শেষ হাসি হাসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।