পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব স্বৈরাচারী তিনি যেভাবে সরকার চালিয়েছেন একই মনোভাবে নিজের পছন্দের লোককে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। এমনই অভিযোগে ত্রিপুরায় (Tripura) শাসকদল বিজেপি বিধায়কদের মারমূর্তি শনিবার রাতেই দেখেছেন দেশবাসী। খোদ বিপ্লববাবুর সরকারি আবাসনে বাকি বিধায়করা হাতাহাতি শুরু করে দেন। চেয়ার ছুঁড়ে, জাপটা জাপটি করে এরেবারে অ্যাকশন সিন।
নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ রবিবার। ত্রিপুরার একাদশতম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদভার গ্রহণ করবেন ড.মানিক সাহা। তবে দলীয় বিধায়করা তাঁকে মানতে নারাজ। শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বদলের পর যে মারামারি সংঘটিত হয়েছিল বিধায়কদের মধ্যে তাতে বিজেপি বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল উগ্রমূর্তি নিয়ে বলেন ‘কাট ডালুঙ্গা’। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য।
কাকে কাটবেন মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল? আগরতলা সরগরম। বিজেপির প্রায় সব বিধায়ক বিক্ষুব্ধ। কিন্তু রামপ্রসাদ পাল যেভাবে কাট ডালুঙ্গা বলেছেন তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ড.মানিক সাহাকে প্রকাশ্যেই তিনি ও বাকিরা অপমানিত করার পথ নিতে চলেছেন।
সূত্রের খবর, বিজেপির ভিতর রামপ্রসাদ পালকে নিয়ে আরও একটি গোষ্ঠি রাতে বৈঠক করে। কেন্দ্রীয় বিজেপির প্রতিনিধি বিনোদ সোনকর কে যথেচ্ছ গালাগালি দেওয়া হয়। বিধায়কদের অভিযোগ, বিপ্লব দেব স্বৈরাচারী শাসকের মতো সরকার চালিয়ে ভোটের দশ মাস আগে সটকে পড়লেন। বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠি রবিবার হেস্তনেস্ত করবেন বলে ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন।
বিজেপির হেভিওয়েট তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বারবার মারমুখো বিক্ষুব্ধদের থামানোর চেষ্টা করেন। তিনিও ব্যর্থ হন। তবে অপর হেভিওয়েট শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ নীরবে দূরে থেকেছেন।
বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের অভিযোগ, বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের একটিও প্রতিশ্রুতি না রেখে রাজ্যকে বিশৃঙ্খল করে ক্ষমতা থেকে সটকে গিয়ে নিজেকে বাঁচানোর পথ নিয়েছেন বিপ্লব দেব। তাঁর ঘনিষ্ঠ মানিক সাহাকে বরদাস্ত করা হবে না। বিধায়কগের দাবি, দলের আর ১৫ শতাংশ ভোটও নেই ত্রিপুরায়।