ক্ষমতার স্বাদ পেয়েই ‘চাপে’র খেলায় আরও আক্রমণাত্মক নীতীশ কুমারের দল। সরকার গড়তে মোদীকে সমর্থন জানানোর পরই কেন্দ্রের ‘বিতর্কিত’ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জেডিইউ-এর প্রবীণ নেতা। নীতীশের দলের কেসি ত্যাগী বললেন, অগ্নিবীর (Agniveer) প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তার দাবি তুলেছেন।
সেনায় নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি প্রকল্প ‘অগ্নিবীর’ ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। সরব হয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের দাবি ছিল, অগ্নিবীর প্রকল্পের কারণে দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়বে। মান কমবে ভারতীয় সেনারও। প্রতিবাদে দেশের যুব সমাজও আন্দোলনে নেমেছিল। তবে, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে আগ্নিবীর প্রকল্প আইনে পরিণত হয়। শুরু হয় সেনায় চুক্তি নিয়োগ।
ভোটের ফলের পোস্ট মর্টেম পদ্মশিবিরের
সেনাবাহিনীর লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। চার বছরের মেয়াদ শেষে ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে বলে সেসময় ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। বাকি ৯০ শতাংশ অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বিএসএফ এবং আধাসেনায়ও সংরক্ষণ পাবেন অগ্নিবীররা।
Adhir Chowdhury: দিকভ্রান্ত অধীর! নিজের গড়ে হেরে এখন কী করবেন ভেবে আকুল
যা নিয়েই এ দিন আপত্তির কথা ধরা পড়েছে জনতা দল ইউনাইটেড নেতা কেসি ত্যাগীর মুখে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘দল সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের প্রকল্প অগ্নিবীর-এর পর্যালোচনা চাইবে। একাধিক রাজ্যে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন তরুণরা। এই প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তাই পুনর্বিবেচনা চাইব। তবে আমরা বিষয়টির বিরোধিতা করছি না।’
পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে নীতীশের দল গোটা দেশে জাতিগত জনগণনার দাবি করেছেন। বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদাও দাবি করেছেন।