সম্প্রতি সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে লিটার প্রতি পেট্রোল-ডিজেলের দাম কিছুটা কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আবারো পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, অপরিশোধিত তেলের দাম দুই মাসের সর্বোচ্চ লেনদেন হচ্ছে। শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার প্রতি ব্যারেল ১১৮ ডলার অতিক্রম করেছে। এটি বর্তমানে ব্যারেল প্রতি ১১৭.৩০ ডলারে বিকোচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে সওয়াল করায় অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
এর আগে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ ১৩৯ ডলার প্রতি ব্যারেলে পৌঁছে গেছিল। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবিতে যেমন দাম বাড়ছে, তেমনি চিনে করোনার জেরে জারি করা লকডাউন শিথিলের খবরেও বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম।
এদিকে অপরিশোধিত তেলের দামের এই বৃদ্ধি ভারতের জন্য যথেষ্ট দুঃসংবাদ তা বলাই বাহুল্য। ভারতে ২০২২ সালের ২২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিলের মধ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর থেকে আবগারি শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পেট্রোলের উপর আবগারি শুল্ক লিটার প্রতি ৮ টাকা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি ৬ টাকা কমানো হয়েছে। তবে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে ফের বাড়তে শুরু করতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।


