দিল্লির পর এ বার কাঁপল বিহার

দিল্লির পর বিহারে ভূমিকম্প (Bihar Earthquake)। সিওয়ান জেলার বিস্তীর্ণ অংশ কেঁপে উঠল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকালে ৮টা…

After Delhi, Bihar Shakes with Earthquake

দিল্লির পর বিহারে ভূমিকম্প (Bihar Earthquake)। সিওয়ান জেলার বিস্তীর্ণ অংশ কেঁপে উঠল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকালে ৮টা ২ মিনিটে কম্পনটি হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কম্পন অনুভব করে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। 

একই ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতেও। সোমবার সকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪, তবে স্থানীয়দের মতে কম্পনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, দিল্লির ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটির পাঁচ কিলোমিটার নিচে। কম্পনের তীব্রতা বেশী হওয়ার কারণ ছিল কম গভীরে উৎসস্থল।

   

ভূমিকম্পের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি টুইট করেন, ‘দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’

দিল্লির ভূমিকম্পের আড়াই ঘণ্টা পর বিহারেও একই ধরনের ভূমিকম্প হয়। সিওয়ান জেলার ভূমিকম্পের তীব্রতা দিল্লির মতোই ছিল। এতে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। বিহারে যে কম্পনটি অনুভূত হয়েছে, তার উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

এদিন সকাল থেকে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হওয়ার পর, কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলেছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, কিন্তু ভূমিকম্পের পরবর্তী আফটারশকের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দিল্লি এবং বিহারের ভূমিকম্পের ঘটনা আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই দুই অঞ্চলের ভূমিকম্প, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লির ভূমিকম্প, ভূতাত্ত্বিকভাবে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। দিল্লি হিমালয়ের কাছাকাছি একটি সিসমিক জোনে অবস্থিত, যার কারণে এখানে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।

দিল্লি এবং বিহার ছাড়াও, ভারতের অনেক এলাকা সিসমিক জোনে অবস্থিত। এখানকার ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং তার প্রভাব স্থানীয় জনগণের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় বাড়ির ভিতরে না থাকাই ভালো। এছাড়া, ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশক হতে পারে, তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’