HomeBharatজুবিন গর্গের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাহুল গান্ধী

জুবিন গর্গের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাহুল গান্ধী

- Advertisement -

আসামের অন্যতম সাংস্কৃতিক প্রতীক ও জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যের জট খুলতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) । বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর), আসামের কামরূপ জেলার গর্গ পরিবারের বাসভবনে যান রাহুল। সেখানে তিনি জুবিন গর্গের স্ত্রী গরিমা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেন।

রাহুল গান্ধী বলেন, “জুবিন গর্গ ছিলেন শুধুমাত্র একজন সংগীতশিল্পী নন, তিনি ছিলেন আসামের আত্মার প্রতিচ্ছবি। তাঁর মৃত্যু আমাদের সবার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে, তাঁর মৃত্যু নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা সন্দেহ যেন অমীমাংসিত না থাকে।”

   

তিনি আরও বলেন, “জুবিন গর্গকে আমি কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো মনে করি – তিনি ছিলেন সৎ, স্বচ্ছ, অটল ও সুন্দর।” জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘটে ১৯ সেপ্টেম্বর, সিঙ্গাপুরে। সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়, স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমগ্র আসাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাজ্যের মানুষের কাছে ‘জুবিন দা’ কেবল একজন শিল্পী ছিলেন না, ছিলেন এক আবেগ, এক প্রেরণা। তিনি ছিলেন ভাষা, সংস্কৃতি ও সংগীতের মেলবন্ধনের প্রতীক।

২৩ সেপ্টেম্বর, তাঁর মরদেহ দেশে ফিরে এলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গুয়াহাটির শ্মশানে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। যেখানে শুরুতে মনে করা হচ্ছিল এটি একটি দুঃখজনক দুর্ঘটনা, পরে পরিস্থিতি মোড় নেয় অন্য দিকে। জুবিন গার্গের স্ত্রী গারিমা গার্গ প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে। তিনি সরাসরি অভিযোগ না করলেও জানান, কিছু বিষয় অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে এবং একটি স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি।

শুধু গরিমাই নন, রাজ্যের বহু ভক্ত ও সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় জুবিন গর্গের মৃত্যুকে ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁরা দাবি করেন, পুরো ঘটনাটি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা দরকার, কারণ তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ স্কুবা ডাইভার কীভাবে এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন – সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো অধরা।

- Advertisement -
Suparna Parui
Suparna Paruihttps://kolkata24x7.in/author/suparna-parui
হাতেখড়ি চ্যানেলে। খবরের গন্ধ শনাক্ত করার কৌশল শেখা সেখান থেকেই। তারপর ৬ বছর ধরে বিনোদন রাজনীতির খবরের ব্যবচ্ছেদ করে চলেছি। খবর শুধু পেশা নয়, একমাত্র নেশাও বটে।কাজের পাশাপাশি সিনেমা দেখতে, গান শুনতে, বেড়াতে যেতে খুব ভালোলাগে। তাই সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি নতুন অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular