Achhe din: ১৬ বছরের মধ্যে নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

নিউজ ডেস্ক: আচ্ছে দিন (Achhe din)! গত ১৬ বছরের মধ্যে ২০২১- এর নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। নভেম্বর (november) মাসে পাইকারি বাজারের (wholesale…

Wholesale product prices hit record highs

নিউজ ডেস্ক: আচ্ছে দিন (Achhe din)! গত ১৬ বছরের মধ্যে ২০২১- এর নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। নভেম্বর (november) মাসে পাইকারি বাজারের (wholesale market) মূল্য সূচক বা হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (wpi) বেড়েছে ১৪.২৩ শতাংশ। অক্টোবর মাসে যা ছিল ১২.৫৪ শতাংশ। গত ১৬ বছরের মধ্যে এটাই পাইকারি বাজারের সর্বোচ্চ মূল্য সূচক। মঙ্গলবার (Tuesday) কেন্দ্রই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানিয়েছে। নিন্দুকেরা বলছেন, এটাই মোদী সরকারের ‘আচ্ছে দিন’।

২০২১- এর এপ্রিল থেকেই পাইকারি বাজারের মূল্য বৃদ্ধির হার দুই অংকের সংখ্যায় ঘোরাফেরা করছিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য ও মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, রাসায়নিক পণ্য, কয়লা, ভোজ্যতেল, ডিম, দুধ, সব ধরনের শাকসবজি ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণেই পাইকারি বাজারের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে জ্বালানি তেল ও শক্তি সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির হার ছিল ৩৭.১৮ শতাংশ। নভেম্বরে ২ শতাংশ বেড়ে এই হার ৩৯.৮১ শতাংশ হয়েছে। নভেম্বর মাসে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ১১.৯২ শতাংশ।
অ্যাকিউট রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান অ্যানালিটিক্যাল অফিসার সুমন চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্প্রতি জ্বালানি ও শক্তি ক্ষেত্রে ৫.৬ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। যার প্রভাব পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। এর ফলেই কয়লা থেকে বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদ, শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ, ডিম সবকিছুরই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। প্রতিটি কৃষিজাত পণ্যের দাম বাড়ার কারণে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে সুমনবাবুর আশা, এই পরিস্থিতি খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, শীতের ফসল বাজারে আসলেই শাকসবজির দাম অনেকটাই কমবে। যদিও তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের অকাল বৃষ্টিতে কৃষি ও কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে হারে পাইকারি বাজারে মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে তার ফলে আগামী দিনে খুচরা বাজারেও অবশ্যই দাম বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই বেশিরভাগ অর্থ খরচ করছেন। অত্যাবশ্যক নয় বা বিলাসবহুল পণ্য কেনার খরচ মানুষ অনেকটাই কমাতে বাধ্য হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যের কেনাকাটা কমার ফলে এধরনের শিল্প মার খাচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতির পক্ষে আদৌ ভাল নয়।