রঙারেড্ডি জেলার নারসিঙ্গি মিউনিসিপ্যাল অফিসে বুধবার বিকেলটা যেন এক অঘোষিত নাটকের মঞ্চ। অফিসকক্ষে গাদাগাদি করে রাখা টাকার বান্ডিল, চারপাশে তেলেঙ্গানা অ্যান্টি-করাপশন ব্যুরোর আধিকারিকেরা। আর তাদের মাঝখানে টাউন প্ল্যানিং অফিসার মনিহারিখা, ঘুষের টাকা হাতে ধরা পড়েই ভেঙে পড়লেন কান্নায়।
১০ লক্ষ টাকা ঘুষ
অভিযোগ, লেআউট রেগুলারাইজেশন স্কিমের (এলআরএস) আওতায় এক বাসিন্দার জমি অনুমোদনের জন্য মোট ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন তিনি। মানচিরেভুলার বাসিন্দা বিনোদ সেই প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকার করে সরাসরি এসিবি’র দ্বারস্থ হন। ফাঁদ পেতে বুধবার ঘুষের প্রথম কিস্তি, চার লক্ষ টাকা—নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন মনিহারিখা।
ধরপাকড়ের পরেই কান্নায় ভেঙে পড়লেও রেহাই মেলেনি। তদন্তকারীরা সঙ্গে সঙ্গেই তার অফিসে হানা দিয়ে নথি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করেন। এসিবি সূত্রে খবর, আরও অনেক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধারাবাহিক অভিযানে এসিবি ACB arrested Officer for taking bribe
এ শুধু এক দিনের অভিযান নয়। গত জুলাই মাসেই রাজ্যের দুর্নীতি দমন দপ্তরের নজিরবিহীন পদক্ষেপে আলোড়ন পড়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ সি মুরলিধর রাও-র বাড়ি এবং একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিতে মিলেছিল একাধিক ভিলা, হাই-এন্ড ফ্ল্যাট, সোনার গয়না, মোটা ব্যাংক আমানত, এমনকি বিলাসবহুল মার্সিডিজ-বেঞ্জ গাড়িও। নথি অনুযায়ী সম্পদের দাম এক রকম হলেও বাস্তবে বাজারমূল্য বহু গুণ বেশি—তদন্তকারীদের দাবি। রাওকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয়েছিল বিচার বিভাগীয় হেফাজতে।
স্পষ্ট বার্তা
একদিকে সাধারণ টাউন প্ল্যানিং অফিসার, অন্যদিকে উচ্চপদস্থ আমলা, সব ক্ষেত্রেই বার্তা একটাই। সরকারি চেয়ারকে ব্যক্তিগত সম্পদ গড়ার হাতিয়ার বানানো যাবে না। আইন তার নাগাল পেতেই হবে।
Bharat: Telangana ACB arrested Narsingi Town Planning Officer Maniharika for taking a ₹4 lakh bribe for an LRS scheme approval. This latest raid follows a series of anti-corruption crackdowns across the state, highlighting a major push to end official graft.