JNU চত্বরে ফের সংঘর্ষে জড়াল এবিভিপি-আইসা

News Desk, Delhi: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ-তে (JNU) ফের সংঘর্ষে জড়াল দুই ছাত্র সংগঠন (Students Union)। বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ…

ABVP-AISA clashed again at JNU premises

News Desk, Delhi: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ-তে (JNU) ফের সংঘর্ষে জড়াল দুই ছাত্র সংগঠন (Students Union)। বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি (ABVP) ও বাম সমর্থিত অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বা আইসা-র (AISA) সদস্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষ (Clash) হয়।

এবিভিপি-র অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে (University) তাদের দলীয় বৈঠক চলাকালীন আইসা হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে এবিভিপি অভিযোগ করেছে। ঘটনার জেরে দিল্লির (Delhi) বসন্তকুঞ্জ থানায় এবিভিপির (BasantKunj Police Station) তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আইসা ও এবিভিপির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তবে এখনও এফআইআর দায়ের হয়নি।

জানা গিয়েছে, রবিবার দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনার পর দুপক্ষই বসন্তকুঞ্জ থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। দুপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত কয়েকজনকে দিল্লির এইমসে (AIIMS) এবং সফদরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবিভিপির অভিযোগ, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাঁদের একটি বৈঠক চলছিল।

ABVP-AISA clashed again at JNU premises

সেই বৈঠকে সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক চলাকালীন আচমকাই হামলা চালায় আইসার সদস্যরা। তারা চেয়ার টেবিল উল্টে দেয়। লাঠি দিয়ে মারধর করে। সমস্ত কাগজপত্র ছিঁড়ে নষ্ট করে দেয়। এবিভিপির অভিযোগ আইসা এবং এসএফআই-এর সদস্যরা যৌথভাবে তাদের মহিলা সদস্যদের উপরেও হামলা চালিয়েছে। বাম ছাত্র সংগঠনের এই হামলায় এবিভিপির অনেকেই গুরতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জেএনইউ চত্বরে ফের তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

যদিও এবিভিপি-র করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভাপতি তথা এসএফআই (SFI) নেত্রী ঐশী ঘোষ। তিনি পাল্টা বলেছেন, এবিভিপি-ই তাঁদের সংগঠনের সদস্যদের উপর বিনা কারণেই হামলা করে। এই ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ঐশী। নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এবিভিপির হামলার একাধিক ছবিও পোস্ট করেছেন বাম নেত্রী।

উল্লেখ্য, এর আগেও ছাত্র সংগঠনের এ ধরনের ঝামেলার সাক্ষী থেকেছে জেএনইউ। ২০২০ সালে ৫ জানুয়ারি মুখে রুমাল বেঁধে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ওই হামলায় জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের মাথা ফেটেছিল। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনও আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভাঙচুর করা হয়েছিল মেয়েদের হস্টেল।

<

p style=”text-align: justify;”>বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই অভিযোগ করেছিল, এবিভিপি-র অন্তত ১৫-২০ জন সদস্য পরিকল্পনা করেই এই হামলা চালিয়েছে। ব্যাট, রড, লাঠি নিয়ে মেয়েদের হস্টেল ঢুকে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছিল এবিভিপির দুষ্কৃতীরা। ওই হামলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যায় মুখে রুমাল বেঁধে একদল যুবক ব্যাট, রড হাতে ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।