Aadhar: এবিএসে মোদী সরকার অনড়, ৮ কোটির বেশি শ্রমিক মজুরি পাবেন না

জব কার্ড রয়েছে একশো দিনের কাজের। কিন্তু আধার (aadhar) ভিত্তিক মজুরি প্রদান ব্যবস্থায় আসতে পারেননি এমন ৮ কোটি ৯০ লক্ষ দিনমজুরের মজুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড়…

জব কার্ড রয়েছে একশো দিনের কাজের। কিন্তু আধার (aadhar) ভিত্তিক মজুরি প্রদান ব্যবস্থায় আসতে পারেননি এমন ৮ কোটি ৯০ লক্ষ দিনমজুরের মজুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় বাধা তৈরি হলো মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে।  প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেম (ABS) মাধ্যমেই রেগার মজুরি দেবে কেন্দ্র এমনই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্র সরকারের এমন অবস্থানের ফলে কোটি কোটি শ্রমিক  ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মজুরি পাবেন না।

গত বছর (২০২৩) থেকেই আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেম বা এবিপিএস বাধ্যতামূলক করতে নেমেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবিএস বিধি অনুযায়ী একশো দিনের কাজের জব কার্ডে থাকতে হবে আধার কার্ডের তথ্য। তার ভিত্তিতেই অ্যাকাউন্টে পৌঁছবে মজুরি।

গত বছর পাঁচবার এবিপিএস বাধ্যতামূলক করার সময়সীমা পিছিয়েছে কেন্দ্র। ৩১ ডিসেম্বর পঞ্চমবার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এই ব্যবস্থায়নাম আনার হুড়োহুড়িতে গুচ্ছ গুচ্ছ নাম বাদ পড়ার অভিযোগ তুলছেন সংশ্লিষ্ট আন্দোলনের কর্মীরা। কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, আধার কেন্দ্রিক প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করার নামে দেশের সবচেয়ে গরিব অংশকে বিপদের মুখে ফেলা হচ্ছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নথিভুক্ত সব রেগা শ্রমিকের ৩৪.৮ শতাংশ বা ৮ কোটি ৯০ লক্ষ আধার ভিত্তিক মজুরি প্রদান ব্যবস্থায় নেই। সক্রিয় বা নিয়মিত কাজ করেন এমন শ্রমিকদের ১২.৭ শতাংশ বা ১ কোটি ৮০ লক্ষের নাম নেই এবিপিএস ব্যবস্থায়। ২০২২ সালের এপ্রিলে নথিভুক্ত ৭ কোটি ৬০ লক্ষ রেগা শ্রমিকের নাম বাদ পড়েছিল দেশে। সদ্য শেষ হওয়া বছরে বাদ গিয়েছে আরও ১ কোটি ৯০ লক্ষ শ্রমিকের নাম।

জয়রাম রমেশ বলছেন, বিভিন্ন অঞ্চলে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ নাম বাদ পড়েছে ভুলের কারণে। এবিপিএস তাড়াহুড়ো করে চাপিয়ে দিতে গিয়ে হচ্ছে ভুল। গত ৩০ আগস্ট কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এবিপিএস নিয়ে বিবৃতি দেয়। মন্ত্রকের দাবি, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের পরামর্শেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই ব্যবস্থা মজুরি আগের চেয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে সহায়কও দেওয়া হচ্ছে। তবে

প্রশ্ন উঠেছে লিবটেক নামে একটি সংস্থা ৩ কোটিরও বেশি লেনদেনে সমীক্ষা চালিয়েছিল। একশো দিনের পাছে কাজে মজুরি দেওয়ার আগের ব্যবস্থা এবং এবিপিএসের মধ্যে তুলনাও করে এই সমীক্ষা। এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যান বিদ্যার নিরিখে নতুন ব্যবস্থার সুফল ধর্তব্যের মধ্যে আসে না।