ফের একবার রাজ্যে নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটে গেল। গরু পাচারকারী সন্দেহে এবার এক দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ উঠল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হরিয়ানা রাজ্যে।
গত ২৩ অগস্ট রাতে দিল্লি-আগ্রা হাইওয়ের গদপুরি টোলের কাছে গুলি করে খুন করা হয় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান মিশ্রকে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, মৃত আরিয়ান মিশ্রের লাল রঙের ডাস্টার গাড়িটি গণপতি টোল প্লাজা থেকে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে আসছে। তার ঠিক পেছনেই একটি সাদা রঙের সুইফট গাড়িও প্রচণ্ড গতিতে আরিয়ানের গাড়িকে ধাওয়া করছে। গাড়ির গতি এত দ্রুত ছিল যে টোলের টোল ব্যারিয়ারও ভেঙে যায়। এই ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ ৫ গোরক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
অন্যদিকে নিহতের বাবা পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মৃতের বাবা সায়ানন্দ মিশ্র বলেন, “আমার ছেলে আরিয়ান মিশ্র দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। আমি কিছুই জানতাম না… পরে জানতে পারি আমার ছেলেকে গরু পাচারের সন্দেহে গুলি করা হয়েছে। গরু চোরাচালানের সন্দেহে কাউকে গুলি করার অধিকার কার আছে? মোদী সরকার যদি এমন অধিকার দিয়ে থাকে, তাহলে কেন?… এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২৩ অগস্ট রাতে অভিযুক্তরা গোপন সূত্র থেকে খবর পায় যে একটি ডাস্টার গাড়িতে করে শহরে গরু পাচারকারীরা রেকি করছে। এ সময় তারা যেখানেই পশুপাখি পাচ্ছেন, সেখানেই তাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। গোরক্ষক অনিলের দল গাড়িটির সন্ধান শুরু করে এবং তারা ২৪ আগস্ট রাত দেড়টা নাগাদ ফরিদাবাদের সেক্টর -২১সি তে ডাস্টার এসইউভি দেখতে পায় এবং সেটিকে তাড়া করতে শুরু করে।
অভিযুক্তরা গাড়ি থামানোর চেষ্টা করলে গাড়িতে থাকা যুবক হর্ষিত ও তার ভাই শাঙ্কি ভেবেছিল সিভিল পোশাকে পুলিশ তাদের তাড়া করে গ্রেফতার করতে চাইছে। আসলে, শঙ্কির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। শঙ্কির নির্দেশে হর্ষিত দ্রুত গাড়ি চালাতে শুরু করলে অভিযুক্তরা তাঁদের ধাওয়া করতে শুরু করে। এরপর দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পালওয়ালের দিকে গাড়ি নিয়ে যান হর্ষিত। গরু পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অভিযুক্তরা গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এক্সপ্রেসওয়ের গদপুরি টোল প্লাজার পর বাঘোলা গ্রামে হর্ষিতের পাশে বসা আরিয়ানের গায়ে লাগে একটি গুলি।
আরিয়ানকে মাথায় ও ঘাড়ে গুলি করা হয়। খুব কাছ থেকে গুলি চালানোর পর অভিযুক্তরা গাড়ির ভিতরে উঁকি মেরে তাদের ভুল বুঝতে পারে, কারণ মহিলারাও পিছনের সিটে বসেছিলেন। এরপরেই অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিয়ানের মৃত্যু হয়।
#WATCH | Faridabad, Haryana: A student of class 12th shot dead on suspicion of cow smuggling.
His father, Siyanand Mishra says, “My son named Aryan Mishra was a student of Class 12. I was not aware of anything…Later, I got to know my son was shot on suspicion of cow… pic.twitter.com/ALFp4m75BR
— ANI (@ANI) September 3, 2024