১০০-র মধ্যে ৫৫৫ নম্বর পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ ছাত্রের

মার্কশিট হাতে পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ বিহারের মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের এক ছাত্রের। কারণ ওই ছাত্র ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৫৫৫! এহেন নম্বর প্রাপ্তিতে ওই তরুণ…

মার্কশিট হাতে পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ বিহারের মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের এক ছাত্রের। কারণ ওই ছাত্র ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৫৫৫! এহেন নম্বর প্রাপ্তিতে ওই তরুণ পরীক্ষায় ১০৮.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের এই নম্বর প্রাপ্তির কথা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া তাঁর অনার্স সাবজেক্টে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৮৬৮ পেয়েছন! প্রশ্ন হল কী করে এটা সম্ভব হল? উঠছে গত শনিবার মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই ফলাফল দেখা যাচ্ছে। সেখানেই জ্বলজ্বল করছে ওই স্নাতক পড়ুয়ার এমন অভূতপূর্ব সাফল্যের ছবি। তবে এই মার্কশিট হাতে পেয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্র প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছেন। কারণ এই মার্কিশিট নিয়ে তো কোনও চাকরি পরীক্ষায় বা উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন মার্কশিট কাণ্ড ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

   

উপাচার্য শ্যামা রায় এ ধরনের আজগুবি নম্বর প্রদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। উপাচার্য জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই এমনটা ঘটেছে। তবে ভুল স্বীকারের পরেও বিতর্ক অব্যাহত। স্নাতক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, পরীক্ষার নিয়মকের সম্মতির পরেই তা প্রকাশ্যে আনা হয়। তাহলে কী করে এমন ভুল সকলের নজর এড়িয়ে গেল? এ ঘটনায় উপাচার্য পরীক্ষার নিয়ামক রামাশিস পুর্বেকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছেন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কী করে সকলের নজর এড়িয়ে এমন নম্বর দেওয়া হল। পাশাপাশি উপাচার্য জানিয়েছেন, আগামী দিনে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময় আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভরতি ও পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতিপর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন।