PM in Manipur: “মণিপুরে উঠবে নতুন সূর্য”, প্রধানমন্ত্রী দিলেন আশার আলো!

ইম্ফল: ২৮ মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে মণিপুরের (Manipur) মাটিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। ২০২৩ সালে শুরু হওয়া কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে পুছে ছাই হয়ে…

PM in Manipur: "মণিপুরে উঠবে নতুন সূর্য", প্রধানমন্ত্রী দিলেন আশার আলো!

ইম্ফল: ২৮ মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে মণিপুরের (Manipur) মাটিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। ২০২৩ সালে শুরু হওয়া কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে পুছে ছাই হয়ে যায় উত্তরপূর্ব-রাজ্যের পাহাড় থেকে উপত্যকা। বিগত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য আশায় বুক বেঁধেছিল মণিপুরের মানুষ। শনিবার সেখানে পৌঁছে অবশেষে মণিপুরের মানুষদের আশার আলো দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra modi)।

তিনি বলেন, “মণিপুরের এই মাটি স্বপ্ন দেখায়। দুর্ভাগ্য, যে এখানে সংঘর্ষের ছায়া ঘনিয়ে এসেছিল। কিছুক্ষণ আগেই আমি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তার পর আমি জোর গলায় বলতে পারি, মণিপুরের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন ভোর।”

   

উল্লেখ্য, মণিপুরের উপত্যকায় (Manipur) বসবাসকারী মেইতেই এবং পাহাড়ে বসবাসকারী কুকি জাতির মধ্যে জমির অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ২০২৩ সালে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। যার জেরে পমারা যান প্রায় ২৫০ মানুষ। দুপক্ষের সংঘর্ষ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করে। গৃহহারা হন প্রায় ৫০ হাজার। এদিনের সফরে মণিপুরকে ছন্দে ফেরাতে কেন্দ্র সরকার চেষ্টা করছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদী।

তিনি বলেন, “উন্নয়ন আনতে গেলে আগে শান্তি স্থাপন করা দরকার। গত ১১ বছরে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির বহু সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। মানুষ শান্তি এবং উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি পাহাড় এবং উপত্যকার মানুষের মধ্যে আলোচনা চুক্তি শুরু হওয়াতে আমি খুশি।”

মোদীর একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের আশ্বাস

Advertisements

শান্তি স্থাপনের পাশাপাশি মণিপুরে একগুচ্ছ উন্নয়নের প্রকল্পের আশ্বাস দেন নরেন্দ্র মোদী। সেই তালিকায় ইম্ফলের নতুন বিমানবন্দর থেকে শুরু করে নতুন হাইওয়ে, রেলপথ, মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সেইসঙ্গে মণিপুরের ভাষণেও মোদী বলেন, “আমরা খুব শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছি। আজ সমগ্র দেশের সঙ্গে আমাদের চুরাচন্দপুর, আমাদের মণিপুরও (Manipur) উন্নত হচ্ছে”।

মোদী বলেন, “সমগ্র দেশজুড়ে প্রায় ৬০ হাজার পাকা বাড়ি তৈরি করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যার মধ্যে মণিপুরও উপকৃত হয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কাছে পানীয় জলের ব্যবস্থা পৌঁছে গিয়েছে। গত ৭-৮ বছর আগে যেখানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে মণিপুরের মাত্র ২৫-৩০ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছত, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩.৫ লক্ষ বাড়িতে পৌঁছেছে।

বিরোধীদের কটাক্ষ

তবে যেখানে ২ বছর ধরে সংঘর্ষ চলা মণিপুরে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছোতে এত সময় লেগে গেল, সেখানে তাঁর দেখানো আশ্বাস কার্যকর হতে কতদিন সময় লাগবে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। ২ বছর পর ৩ ঘন্টার জন্য নরেন্দ্র মোদীর মণিপুর যাত্রাকে ‘পিট-স্টপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে। তিনি বলেন, “মণিপুরের মানুষদের প্রতি এটা ঘোর অপমান।” চুরাচন্দপুরে মোদীর রোড শো “কাপুরুষোচিত পলায়ন” বলে কটাক্ষ করেন খারগে।