নয়াদিল্লি: সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা বিস্ফোরণের (Delhi Red Fort Blast) ৪৮ ঘন্টা পর ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’-র তকমা দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে, অতীতের মত এবারের ঘটনাতেও পাকিস্তান-যোগ রয়েছে কিনা সেই নিয়ে কিছু স্পষ্ট করেনি কেন্দ্র। তদন্তে জইশ যোগ মিললেও ভুটান থেকে ফিরে বুধবার নরেন্দ্র মোদীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ঘটনাকে কেবল ‘জঘন্যতম সন্ত্রাসী হামলা’ ও ‘কাপুরুষোচিত আচরণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই আবহে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফের (Khawaja Asif) তরফ থেকে এল বিস্ফোরক বয়ান। একটি জনসভায় আসিফকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা দ্বিমুখী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। দ্বিতীয় দফায় পূর্ব এবং পশ্চিম সীমান্তে আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন”। বলা বাহুল্য, পূর্ব অর্থে ভারত ও পশ্চিম অর্থে আফগানিস্তানকে বোঝাতে চেয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Khawaja Asif)।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত বিরোধী সীমান্ত পারের যেকোনো আক্রমণকে নয়াদিল্লি ‘যুদ্ধ’ (অ্যাক্ট অব ওয়ার) হিসেবে দেখবে বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অন্যদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে ইসলামাবাদে।
যার দায় স্বীকার করেছে তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)। এই হামলার পেছনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে দাবী করেছেন খোয়াজা আসিফ। অন্যদিকে, দিল্লির বিস্ফোরণকে ‘গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, কূটনীতিকরা বলছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর বছর ঘোরার আগেই ভুকৌশলগত ফাঁদে পড়েছে নয়াদিল্লি। কেননা, পহেলগাম কান্ডের পর পাকিস্তানকে তুরস্ক, চিন সহ একাধিক দেশ খোলাখুলি পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোট তৈরিতে ধাক্কাই খেয়েছে ভারত।
এই আবহেই দিল্লির বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort Blast) ঘটনা ‘অ্যাক্ট অব ওয়ার’-এর স্বঘোষিত ফাঁদে ফেলেছে সাউথ ব্লককে। সেই কারণেই হয়ত, ৪৮ ঘণ্টা পর বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ তকমা দিলেও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার আগে থেমে গিয়েছে দিল্লি।


