দেশের ৪৪ শতাংশ মহিলা একা বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি পান না। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (survey) প্রকাশিত রিপোর্টে মহিলাদের সম্পর্কে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
ওই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশের তিনজন বিবাহিত মহিলার মধ্যে একজন কর্মরতা। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ওই রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এখনো দেশের ৮২ শতাংশ মহিলা সরাসরি স্বামীকে যৌনতায় ‘না’ বলতে পারেন না। এই তালিকায় শীর্ষে আছে গোয়া। সেখানে ৯২ শতাংশ মহিলা অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে বাধ্য হন। এই হার সবচেয়ে কম অরুণাচল প্রদেশে মাত্র ৬৩ শতাংশ।
সম্প্রতি দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ এই শব্দটি একাধিকবার শিরোনামে এসেছে। আদালত জানিয়েছে, কোনও স্বামী জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই সমীক্ষায় কেবল নারীদের নয় পুরুষদেরও কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, স্ত্রী যদি যৌন মিলনে আপত্তি জানান তাহলে তারা কি করবেন? এ ব্যাপারে তাদের চারটি উত্তর থেকে যেকোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়েছিল। ওই উত্তরগুলি ছিল স্ত্রীর উপর রেগে যাওয়া, জোর করে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা, স্ত্রীকে টাকা পয়সা না দেওয়া বা অন্য কারও সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক তৈরি করা।
কিন্তু ৭২ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, তাঁরা এই চারটি উত্তরের কোনটির সঙ্গেই সহমত নন। অন্যদিকে মাত্র ৬ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, এই চারটির মধ্যে যেকোনও একটি পথ তাঁরা বেছে নিতে পারেন।