২৫০০০ ভোল্টে ঝলসে গেলেন ৬ রেলকর্মী, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

ওভার হেড ইকুইপমেন্ট পোল বসাতে গিয়ে মৃত্যু হল রেলের ৬ কর্মীর। পোলটি বসাতে গিয়ে ২৫,০০০ ভোল্টের হাই টেনশন ওভারহেড তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুহূর্তে…

ওভার হেড ইকুইপমেন্ট পোল বসাতে গিয়ে মৃত্যু হল রেলের ৬ কর্মীর। পোলটি বসাতে গিয়ে ২৫,০০০ ভোল্টের হাই টেনশন ওভারহেড তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুহূর্তে পুড়ে যায় ওই ৬ কর্মীর দেহ।

Advertisements

ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকাল ১১ টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের গোমো-নিচিতপুর রেললাইনে। রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, এদিন ঝাড়খোর গেটের কাছে জনা ১২ কর্মী ওই ওভারহেড ইকুইপমেন্ট পোলটি বসাতে গেছিলেন। এরপরই ঘটে যায় ওই দুর্ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

রেলের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, “ধানবাদ রেল বিভাগের অন্তর্গত গোমো-নিচিতপুর রেলওয়ে লাইমে একটি ওএইচই পোল বসাতে গিয়ে ৬ ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকেই ২৫০০০ ভোল্টের হাই-টেনশন ওভারহেড তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, যোগাযোগের অভাবের কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য ওই ঠিকাদার সংস্থাই দায়ী। সাধারণত, যে ঠিকাদার সংস্থাকে পোল বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা সেই কাজ করতে যাওয়ার আগে রেল বিভাগের কর্তাদের খবর দেয়। তারপর, ওই অংশের ওভারহেড তারের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে রেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না করেই ওই কর্মীদের কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল।

নিহত ৬ কর্মীর দেহ একেবারে পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বাকি কর্মীরাও অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের দেহের অনেকটা অংশ পুড়ে গেছে।

দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান পদস্থ রেলকর্তারা। দুর্ঘটনার পর, ওই লাইনে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বেশ কয়েকটি ট্রেনকে ওই রেলগেটের আশপাশের স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। কালকা থেকে হাওড়াগামী নেতাজি এক্সপ্রেসকে আটকে দেওয়া হয় তেঁতুলমারি স্টেশনে। হাওড়া থেকে বিকানেরগামী প্রতাপ এক্সপ্রেস আটকে যায় ধানবাদ স্টেশনে।