Ram Mandir: রাম মন্দিরে ধর্ম সংকট! উদ্বোধন বয়কট ৪ শংকরাচার্যের

২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দির। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ নাকচ করেছে। তার মধ্যেই দেশের চার শঙ্করাচার্যই অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান…

Ram Mandir inauguration No Invitation To States Governors and chief minister

২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দির। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ নাকচ করেছে। তার মধ্যেই দেশের চার শঙ্করাচার্যই অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কার্যত বয়কট করছেন। পুরী এবং যোশিমঠের শঙ্করাচার্য পরিষ্কার জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ পেলেও তাঁরা মন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন না। গত ৯ জানুয়ারি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে যোশিমঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ জানিয়েছেন, তাঁরা চারজনই ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনে থাকবেন না।

বিশেষ করে মন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই যেভাবে তা খুলে দেওয়া হচ্ছে, তা ধর্মীয় রীতির পরিপন্থী। ধর্মীয় ইতিহাস এবং ঐতিহ্য ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করাই শঙ্করাচার্যদের পবিত্র কর্তব্য। তাঁর মতে, সরকারের এই তাড়াহুড়োর কোনও প্রয়োজন ছিল না। এতে হিন্দু ধর্মের পরম্পরা লঙ্ঘিত হচ্ছে। যার কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে অসম্মতি জানিয়েছে।

গত ৪ জানুয়ারি পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী জানিয়েছেন, তিনি ২২ জানুয়ারি উপস্থিত থাকবেন না। তাঁর মন্তব্য, “আমি আমার পদের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্দির উদ্বোধন করবেন। তিনি রামের মূর্তি স্পর্শ করবেন। সেখানে আমার কী করার আছে? আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাততালি দেব?” ভিডিওতে পুরীর শঙ্করাচার্যের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

নিশ্চলানন্দ রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে ক্ষোভ জানালেও দ্বারকা এবং শৃঙ্গেরির শঙ্করাচার্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠান নিয়ে তাঁদের কোনও অসন্তোষ নেই। যদিও ওই দুই মঠের প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, দুই শঙ্করাচার্য ওইদিন অযোধ্যায় যাবেন না। তবে কী কারণে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত, তা জানানো হয়নি।

শৃঙ্গেরির শঙ্করাচার্য ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, রামমন্দির নিয়ে তাঁর অসন্তুষ্টির ব্যাপারে মিথ্যে প্রচার চলছে। তিনি তাঁর সকল ভক্তকে ওইদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। দ্বারকার শঙ্করাচার্যও দাবি করেন, তিনি রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি।

সম্প্রতি রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই এক হিন্দি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে দাবি করেন, এই মন্দির হিন্দুদের রামানন্দ মতের অনুসারি। এর সঙ্গে শৈব এবং শাক্ত মতের কোনও সম্পর্ক নেই। শঙ্করাচার্যরা শৈব মতাবলম্বী। যোশিমঠের শঙ্করাচার্য আবার চম্পতের মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, তাঁর এ কথা বলার কোনও অধিকার নেই। সব হিন্দু রামমন্দিরের জন্য অর্থ প্রদান করেছেন। মন্দির যদি রামানন্দপন্থীদেরই হবে, তাহলে চম্পত কেন এই ট্রাস্টের দায়িত্বে রয়েছেন।