ভারতের ৩৩ পাতার ডিফেন্স ডসিয়ার খুলে দিল পাকিস্তানের মুখোশ

 ফের ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ঘৃণ্য চক্রান্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ৩৩ পাতার ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে দেখা গিয়েছে কীভাবে পাকিস্তান ভারতকে রক্তাক্ত করার একের পর এক চক্রান্ত তৈরি করেছে।…

ভারতের ৩৩ পাতার ডিফেন্স ডসিয়ার খুলে দিল পাকিস্তানের মুখোশ

 ফের ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ঘৃণ্য চক্রান্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ৩৩ পাতার ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে দেখা গিয়েছে কীভাবে পাকিস্তান ভারতকে রক্তাক্ত করার একের পর এক চক্রান্ত তৈরি করেছে। এই ডিফেন্স ডসিয়ারে বিস্তারিত বলা হয়েছে কিভাবে পাকিস্তানি সংস্থা, তার সেনাবাহিনীসহ, সীমান্তের ওপারে অনুপ্রবেশের চক্র চালায়। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের কীভাবে হত্যা করা হচ্ছে তারও বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ওই ডসিয়ারে।

ফাইলটিতে পাক-সমর্থিত জঙ্গিদের হাতে জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশ, শিক্ষক এবং অভিবাসী শ্রমিকদের হত্যার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এই জঙ্গিরা যারা ইসলামাবাদে সেনা বাহিনীর সরাসরি প্রক্সি হিসেবে কাজ করে, পাকিস্তান কীভাবে রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের মগজ ধোলাই করে তা প্রকাশ করেছে।

   

বিস্তৃত ফাইলের প্রথম বিভাগ, “Terorist Incidents Along The LoC And In The Hinterland” শিরোনামে, ২০২০-২০২১ সালের মধ্যে পাকিস্তানি জঙ্গিদের ভারতে প্রবেশের ১৬টা চেষ্টার তালিকা এবং বিশদ বিবরণ রয়েছে। প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সীমান্তের বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে জঙ্গিরা যে অনুপ্রবেশের পথ তৈরি করে, তার তথ্য দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্র ও নথিপত্রের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কত জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে, তারও পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে এই ডিফেন্স ডসিয়ার।

এদিকে, ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট জানাচ্ছে মঙ্গলবার পর্যন্ত এই বছর নিরাপত্তা বাহিনী ১২৫ জন জঙ্গিকে খতম করেছে। একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ৮২ জন বিদেশী সহ ১৪১ জন এখনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে সক্রিয় রয়েছে। মোট ১৪১ সক্রিয় জঙ্গির মধ্যে, ৫৯ জন স্থানীয় যারা বিভিন্ন নিষিদ্ধ গোষ্ঠী যেমন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি), জইশ-ই-মহম্মদ (জেএম) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) -এর মতো সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত।