২০২৫ সালে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ১,১০০-এর বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে, যা ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে দেখা ক্ষতির পর সর্বাধিক। এই তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর এই বড় ধাক্কা আসে তীব্র বিদ্রোহী কার্যকলাপ এবং আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই, বিশেষ করে বালুচিস্তান প্রদেশে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, অক্টোবর পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর নিহতের অনুপাত বিদ্রোহীদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে ১:১.৬, যা অপারেশন সিনদুরকে বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে বালুচিস্তান এবং আশেপাশের অঞ্চলে ৩৫০টিরও বেশি বড় হামলা এবং কমপক্ষে ২০টি ছোট হামলা ঘটিয়েছে বিদ্রোহী দলগুলি। গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় মূলত বালুচ বিদ্রোহী এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত ছিল। এই হামলার ধারাবাহিকতা এবং মাত্রা প্রমাণ করে যে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। নিয়মিত হামলার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনা ইউনিটগুলি সীমাহীন চাপের মধ্যে রয়েছে।
এর মধ্যে অপারেশন সিন্দুর পাকিস্তানের ক্ষতির মাত্রাকে আরও বাড়িয়েছে। এই অভিযান ৯ ও ১০ মে অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর ও সামরিক স্থাপনা এবং লাইন অফ কন্ট্রোলে ২৩টি অবস্থান লক্ষ্যবস্তু হয়। অপারেশনটি পাকিস্তানকে মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ক্ষতি পাকিস্তানের সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতার জন্য বড় পরীক্ষা। অপারেশন সিন্দুরের পরে, নিরাপত্তা বাহিনীকে কেবল শত্রুর বিরুদ্ধে নয়, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী হুমকির বিরুদ্ধেও একইসঙ্গে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও, বিদ্রোহী দলগুলির আক্রমণের মাত্রা প্রমাণ করে যে, প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন।


