নয়াদিল্লি: কাশ্মীর ফের গর্জে উঠল সেনা বন্দুক। বৃহস্পতিবার ভোরে কিশতওয়ার জেলার সিংহপোরা চাত্রু এলাকায় শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন ত্রাশি’ নামে এই অভিযানে নামানো হয়েছে প্যারা স্পেশাল ফোর্স, ১১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, আসাম রাইফেলস ও কিশতওয়ার এসওজি-র যৌথ বাহিনী।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান
সেনা সূত্রে খবর, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সকালে শুরু হয় তল্লাশি। অভিযানের মাঝেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা জবাব দেয় সেনা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি দেহ উদ্ধার হয়। ধৃত বা নিহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে, এলাকাটি ঘিরে থাকা জঙ্গিদের দল তিন থেকে চার জনের। আরও একাধিক জঙ্গি গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে, তাই চলছে তল্লাশি। সেনার হোয়াইট নাইট কর্পস এক্স হ্যান্ডলে জানায়, অভিযান এখনও চলছে। এলাকা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।
ত্রাল-শোপিয়ান পর পর এনকাউন্টার, সন্ত্রাসদমন অভিযানে গতি 2 terrorists killed in gunfight
গত এক সপ্তাহে কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলে একাধিক সফল অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ত্রালের নদির গ্রামে তিন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। নিহতদের নাম – আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি ও ইয়াওয়ার আহমেদ ভাট। তিনজনই পুলওয়ামার বাসিন্দা।
এর আগে শোপিয়ানের কেলার অঞ্চল এবং ত্রালের নাদার এলাকাতেও পৃথক সংঘর্ষে একাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে। সবকটি অভিযানেই বড় সাফল্য পেয়েছে সেনা।
পহেলগাম হামলার পর কঠোর কৌশল, ধ্বংস জঙ্গি নেটওয়ার্কের
২২ এপ্রিল পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। তারপর থেকেই কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান জোরদার করেছে প্রশাসন। শুধু এনকাউন্টার নয়, জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্তদের সম্পত্তি ভাঙার কাজও শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জেলায়।
পুলিশ ও সেনা সূত্র বলছে, দক্ষিণ কাশ্মীর জুড়ে চলতে থাকা এই অভিযানগুলো কেবল প্রতিক্রিয়াশীল নয়, বরং পূর্ব পরিকল্পিত সন্ত্রাস দমন কৌশলের অংশ। উদ্দেশ্য একটাই—জম্মু ও কাশ্মীরকে মুক্ত করা জঙ্গি-ছায়া থেকে।
Bharat: Indian Army neutralizes two terrorists in a fierce encounter during ‘Operation Trashi’ in Kishtwar’s Singhpora Chhatru, Kashmir. Para Special Forces and other units lead the joint offensive against militants in the region.