নয়াদিল্লি: “আপনারা শিখ নন, হিন্দু”, বলে পাকিস্তানে (Pakistan) প্রবেশে বাধা দেওয়া হল ১৪ জন যাত্রীকে। গুরু নানকের ৫৫৬ তম জন্মবার্ষিকী (Guru Nanak Jayanti) উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওই ১৪ জন সহ প্রায় ২১০০ জন তীর্থযাত্রীকে পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে (Nankana Sahib) যাওয়ার অনুমতি দেয়। ইসলামাবাদ প্রায় সমসংখ্যক তীর্থযাত্রীরই ভ্রমণ নথি জারি করেছিল।
মঙ্গলবার ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যান প্রায় ১৯০০ তীর্থ যাত্রী। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ১৪ জন হিন্দু যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ওই ১৪ জন যাত্রীর জন্ম মূলত পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চলে। দেশভাগের পরবর্তী সময়ে তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পান। তাঁরা পাকিস্তানে নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন।
সূত্রমতে, ওই ১৪ জন যাত্রী দিল্লি থেকে লখনউ যান। কিন্তু সেখানে পাকিস্তানের (Pakistan)আধিকারিকদের তরফে তাঁদের সাফ বলে দেওয়া হয়, আপনারা হিন্দু, শিখ নন, তাই পাকিস্তানে প্রবেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র শিখরাই পাকিস্তানে প্রবেশাধিকার পাবেন। জানা গিয়েছে, এছাড়াও স্বাধীনভাবে ভিসার জন্য আবেদন করা ৩০০ জন ভারতীয়কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণকের প্রয়োজনীয় অনুমোদন না থাকায় সীমান্ত থেকেই ফেরত পাঠানো হয়।
অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম ধর্মীয় কারণে সীমান্ত খুলল
প্রসঙ্গত, বুধবার গুরু নানকের ৫৫৬ তম জন্মবার্ষিকী। প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণে শিখ তীর্থযাত্রীরা সীমান্ত পেরিয়ে একবার গুরু নানকের জন্মস্থান নানকানা সাহিব (Nankana Sahib) চাক্ষুষ করতে চান। কিন্তু আবেগ আর ধর্মের মাঝে ভারত-পাকিস্তানের তিক্ত সম্পর্কের কাঁটাতার তাঁদের অধিকাংশকেই হাতাশ করে বাড়ি পাঠায়।
এবছর অকাল তখত নেতা জিয়ানি কুলদীপ সিং গারগজ, বিবি গুরিন্দর কৌরের নেতৃত্বে শ্রীমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির প্রতিনিধিদল এবং দিল্লি গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির রবিন্দর সিং সুইতা ওয়াঘা সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে গিয়েছেন।
বুধবার মূল অনুষ্ঠানের পর ১০ দিনের অবস্থানকালে, সফররত ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীরা গুরুদ্বার পাঞ্জা সাহেব হাসান আবদাল, গুরুদ্বার সাচ্চা সৌদা ফারুকবাদ এবং গুরুদ্বার দরবার সাহেব কর্তারপুরও পরিদর্শন করবেন।


