Bangladesh: ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’, পুলিশ প্রধান সহ বাহিনী কর্তাদের মার্কিনি নিষেধাজ্ঞা, বিব্রত হাসিনা

News Desk: মার্কিনি চাপে বিড়ন্বিত শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আগেই বাংলাদেশে (Bangladesh) মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চাঞ্চল্য। পুলিশ প্রধান ও জঙ্গি দমনে বারবার…

RAB Bangladesh Police

News Desk: মার্কিনি চাপে বিড়ন্বিত শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আগেই বাংলাদেশে (Bangladesh) মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চাঞ্চল্য। পুলিশ প্রধান ও জঙ্গি দমনে বারবার আলোচিত ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের ৬ শীর্ষ বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অভিযোগ, এরা সবাই মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত।

নিষেধাজ্ঞায় নাম রয়েছে যাদের তারা কোনওভাবেই ভিসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না বলে জানানো হয়। এর জেরে বাংলাদেশ প্রশাসনিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন রাজস্ব এবং বিদেশ বিভাগ।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যাদের নাম:
১. র‍্যাবের প্রাক্তন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
২. ব়্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
৩. ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মহম্মদ আজাদ
৪. ব়্যাবের প্রাক্তনঅতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার
৫. ব়্যাবের প্রাক্তন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মহ. জাহাঙ্গীর আলম
৬. ব়্যাবের প্রাক্রন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মহ. আনোয়ার লতিফ খান।

ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (ব়্যাব) বাহিনীর ভূমিকা বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে আলোচিত। অপরাধ ও জঙ্গি দমনের পাশাপাশি নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় এই সশস্ত্র বাহিনীকে। বিশেষ ক্ষেত্রে তদন্তে অংশ নেয় এই বাহিনী। তবে এই বাহিনী বারবার অভিযুক্ত হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বারবার বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। প্রতিবারই শেখ হাসিনার সরকার জবাবে জানিয়েছে বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থানের প্রেক্ষিতেও একই অবস্থান শেখ হাসিনার সরকারের।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, যাঁদের নামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, আমি তো মনে করি তাঁদের নামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা বস্তুনিষ্ঠ নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বোধ হয় অতিরঞ্জিত কোনো খবর পেয়ে, সেটার ওপর ভিত্তি করে এটা করেছে।

ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মহম্মদ বলেন, আমরা কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন করি না। সব সময় মানবাধিকার রক্ষা করি।  তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, খুন করে ধর্ষণ করে মাদক ব্যবসা চালায়, দেশ এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা তাদের আইনের আওতায় আনি। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাহলে দেশের স্বার্থে এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে আমাদের আপত্তি নেই।