Trina Saha: ‘ড্যাডি নেই’ কান্নায় ভেঙে পরেছে গুনগুন

গুনগুনের গোটা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে তাঁর ড্যাডি। সময়ে-অসময়ে, ভালবাসায়-অবদারে, রাগে-অভিমানে-গুনগুনের একটাই ঠিকানা ড্যাডি। হঠাৎ করে সেই ঠিকানা হারিয়ে যাওয়ায় নিজেকে সামলাতে পারছেন না সে। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা।

Advertisements

অভিনেত্রী বলেন, বেশ কিছু দিন পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক। ছিল লিভারের সমস্যাও। অসুস্থতা নিয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘পরশু দিনও সেটে অভিষেকদা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমরা ওকে বিশ্রাম করতে বলি। দুলালদা (লাহিড়ি) ওকে ডেকে আনতে গিয়েছিল। অভিষেকদা তখন দুলালদার গায়েই বমি করে দেয়। আমরা ডাক্তার দেখাই। তার পর বাড়ি পাঠিয়ে দিই। এই অবস্থায় কালকেও শ্যুট করল। ফোনে আমি বকাবকি করেছিলাম মানুষটাকে।’’ দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্দায় প্রয়াত অভিনেতার মেয়ের ভূমিকায় তৃণা অভিনয় করেছেন । সেই রসায়নে বিশেষ ফারাক ছিল না পর্দার বাইরেও। কান্না জড়ানো গলায় তৃণা জানান, ‘‘পর্দায় অভিষেকদা যেমন আমার ড্যাডি ছিল, পর্দার বাইরেও ড্যাডির মতোই ছিল। পরশু দিনও শ্যুটে আমি খুব বকাবকি করেছি। শরীরের একদম যত্ন নিচ্ছিল না।’’ তৃণার কথায়, বেশ কিছু দিন পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক। ছিল লিভারের সমস্যাও। অসুস্থতা নিয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন অভিনেতা।

Advertisements

অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের চার দশকের সুদীর্ঘ কেরিয়ার। তবে বড় পর্দা থেকে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর নতুন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুনের ‘ড্যাডি’ হিসেবে।