শুভক্ষণে ইসলামাবাদের আশীর্বাদ নিয়েই কুর্সিতে বসবে তালিবান সরকার

নিউজ ডেস্ক: কাবুল সরগরম। মঙ্গলবার রাজপথে আচমকা পাকিস্তান বিরোধী আফগান জনতার মিছিল হয়ে গেল। সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে তালিবান রক্ষীরা গুলি চালাল আকাশে। হুড়োহুড়ি করে…

taliban government protected by pakistan

নিউজ ডেস্ক: কাবুল সরগরম। মঙ্গলবার রাজপথে আচমকা পাকিস্তান বিরোধী আফগান জনতার মিছিল হয়ে গেল। সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে তালিবান রক্ষীরা গুলি চালাল আকাশে। হুড়োহুড়ি করে পালাতে গিয়ে কয়েকজন জখম হয়েছেন।

বুধবার আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার সরকার গড়ার আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ করতে মরিয়া তালিবান জঙ্গিরা। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনার ভার নিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পাক গুপ্তচর প্রধান এখন কাবুলেই। তার নির্দেশে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ গঠন চূড়ান্ত। ইসলামাবাদের আশীর্বাদ নিয়েই কাবুলে তালিবান সরকার তার কাজ শুরু করবে।

কী কাজ করবে তালিবান জঙ্গি সরকার ? প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে সরকার শুরুর প্রথম দিন থেকেই শরিয়া আইনের কঠোর প্রয়োগ হবে আফগানিস্তানের সর্বত্র। ইতিমধ্যেই আফগান যৌনকর্মীদের মেরে ফেলার জন্য তালিকা তৈরি হয়েছে।

তবে বিশ্বকে কূটনৈতিক বার্তা দিয়ে চলেছে তালিবান। এর পিছনে আইএসআই বুদ্ধি রয়েছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের। সরকার গড়ার অনুষ্ঠানে চিন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান, তুরস্কের মতো দেশগুলির কাছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি হবে কিনা তা নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে।

ভারতের সঙ্গে তালিবান সরকারের সম্পর্ক কী হবে?উঠছে এই প্রশ্ন। তালিবান জঙ্গিদের দ্বিতীয় সরকারের অন্যতম এক মন্ত্রী হিসেবে ফের আলোচিত শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই। আশির দশকে দেরাদুন মিলিটারি একাডেমির সেনা প্রশিক্ষণ নেওয়া ‘শেরু’ প্রথম দফার তালিবান সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী ছিল। এবারে তার কপালে বিদেশমন্ত্রক জুটতে পারে বলেই আলোচনা। তাকে সামনে রেখেই নয়াদিল্লিকে কূটনৈতিক বার্তা পাঠাবে তালিবান সরকার।

আফগানিস্তান এখন সম্পূর্ণরূপে তালিবান কব্জায়। এক পথের কাঁটা পঞ্জশিরের শাসক আহমেদ মাসুদ এখন কোনঠাসা। পঞ্জশির দখল করে হাঁফ ছেড়েছে তালিবান। গত ১৯৯৬-২০০১ প্রথম তালিবান সরকারের আমলে পঞ্জশির দখল করা সম্ভব হয়নি জঙ্গিদের পক্ষে।

তালিবানের পঞ্জশির উপত্যকা দখলের পর জরুরি বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সবার নজর পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই পরিকল্পনার দিকে। তাদেরই অঙ্গুলি হেলনে চলবে তালিবান সরকার। আফগানিস্তান এখন পাকিস্তানের সেফ জোন-বড় খুঁটি।