Afghanistan: ভারতের সঙ্গে কোনও বিবাদ নয় বলে জানাল তালিবান বিদেশ মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের ঠিক তিন মাস পর এই প্রথম ভারত সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য করল তালিবান সরকার। তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী (foreign minister )…

Taliban foreign minister

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের ঠিক তিন মাস পর এই প্রথম ভারত সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য করল তালিবান সরকার। তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী (foreign minister ) আমির খান মুত্তাকি (amir khan) বলেন, ভারতের সঙ্গে তাঁরা কোনও রকম বিবাদে যেতে চান না। একই সঙ্গে আমির জানিয়েছেন, শুধু ভারত নয় তাঁরা বিশ্বের কোন দেশের সঙ্গেই অহেতুক বিতর্কে জড়াতে রাজি নন।

ক্ষমতা দখলের তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তালিবান (taliban) বিদেশ মন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেছেন, দেশের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসলামিক এমিরেটসের হাতে। দেশের প্রায় বেশিরভাগ জায়গাতেই আঞ্চলিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলিকে খতম করা হয়েছে। তালিবান বিদেশ মন্ত্রীর কাছে তাঁদের বিদেশ নীতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা কোনও দেশের সঙ্গেই বিবাদে জড়াতে চাই না।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের (india) সঙ্গেও আমরা বিবাদ ও বিতর্ক চাই না। কারণ ভারত আফগানিস্তানের (afganistan) পুনর্গঠনে প্রভূত কাজ করছে। ভারত সরকারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে আমরা সেই সমস্ত কাজ বন্ধ হোক এটা কখনওই করব না। দেশের উন্নয়ন কোনওরকম বাধার মুখে পড়ুক আমরা তা চাই না। সম্প্রতি মস্কোয় আফগানিস্তান নিয়ে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানেও আমরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনাই করেছি।

Taliban foreign minister

বিদেশ মন্ত্রী এদিন স্বীকার করে নেন, ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল যা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে সেই সমস্ত স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে প্রায় শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক জঙ্গি সংগঠনগুলির উত্থানের জন্য তিনি পূর্ববর্তী আশরফ ঘানি সরকারকেই দায়ী করেন।

আফগান মহিলাদের চাকরি এবং শিক্ষার অধিকার থেকে যেভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। কারণ ইতিমধ্যেই সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মহিলাদের ১০০ শতাংশ যোগদানের অনুমতি দিয়েছে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলাদের কাজে যোগ দেওয়া প্রয়োজন সেখানে মহিলাদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও মহিলাদের ধীরে ধীরে জায়গা করে দেওয়া হবে। পূর্ববর্তী ঘানি সরকারের অধীনে যে সমস্ত মহিলারা চাকরি করতেন তাঁদের কাউকেই বরখাস্ত করা হয়নি। তালিবান-সরকার কখনওই মহিলাদের অধিকার কেড়ে নিতে চায় না। সে কারণেই আগের সরকার মহিলা কর্মীদের যে পরিমাণ বেতন দিত বর্তমান সরকারও তা দিয়ে যাচ্ছে।

<

p style=”text-align: justify;”>পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী আমির খান এদিন দাবি করেন, আন্তর্জাতিক মহল সরকার গঠন নিয়ে যা শর্ত দিয়েছিল তার সবই তাঁরা পূরণ করেছেন। তাই এবার গোটা বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া। একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালিবান সরকারে আফগানিস্তানের সব দেশের প্রতিনিধিদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। কারও প্রতি কোনও রকম অবিচার করা হয়নি।