Swastika: শুধু মুখ দেখানোর জন্যই এত টাকা চাইতেন স্বস্তিকা! রেগে যেতেন বাবা

Swastika: একদিন তিনি হেঁটে হেঁটে কথা বলছিলেন, কিছুক্ষণ পর দেখলেন বাবাও পিছন পিছন হাঁটছেন। খুব বিরক্ত লাগতে থাকে। স্বস্তিকা কথা বলতে বলতেই থাকেন তাঁকে চলে…

Swastika

Swastika: একদিন তিনি হেঁটে হেঁটে কথা বলছিলেন, কিছুক্ষণ পর দেখলেন বাবাও পিছন পিছন হাঁটছেন। খুব বিরক্ত লাগতে থাকে। স্বস্তিকা কথা বলতে বলতেই থাকেন তাঁকে চলে যাওয়ার জন্য। ফোন মিউট করেই বাবাকে বারণ করতেন পিছু পিছু না হাঁটার জন্য। কিন্তু বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় শুনতেন না। মেয়ের ফোন কাটার অপেক্ষায় থাকতেন। তারপর ফোন রাখার পরই বলতেন, ‘কী করে রে এত টাকা চাইলি? ডাকাত তুই?’

আসলে স্বস্তিকার ফিজ অনেকটাই। সিনেমায় তাঁর দক্ষতা ততক্ষণে তাঁকে ওই জায়গাতে নিয়ে গিয়েছিল। খুব চনমনে প্রাণবন্ত একজন ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ভাবেই তাঁর দাবিও ছিল বেশি। পরিচালক প্রযোজকরা মেনেও নিতেন। এই বিষয়টিই বাবাকে বুঝিয়ে বলতে চেয়েছিলেন স্বস্তিকা। বাবা অবশ্য বোঝেননি। তাও বলেছিলেন, ‘ডাকাতি করছিস তুই। তোর মুখ দেখার জন্য এক ঘণ্টায় এত টাকা দেবে কেন তোকে? আমি বলেছিলাম যে দেবে এই টাকা। আমার মুখ এক ঘণ্টা দেখার জন্যই দেবে। বাবার বক্তব্য ছিল কেন দেবে এই টাকাটা তোকে। তুই কে যে এই টাকাটা দেবে?’

আসলে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এত মধ্যবিত্ত ভাবে তিনি বড় হয়েছেন যে এখন লোক দেখানো ব্যাপারটাই তাঁর ঠিক পোষায় না। আর স্বস্তিকার এই স্পস্টবক্তা কথা বার্তা আগাগোড়াই ভালো বেসে এসেছেন ফ্যানেরা। তাই তো একবার একজন বলেছিলেন, স্বস্তিকাদিকে তাঁর নাকি খুব ভালো লাগে। অভিনেত্রীকে দেখতে তো বরাবরই তথাকথিত বাঙালি অভিনেত্রীদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তিনি বড্ড সুন্দরম এত বয়সেও ধরে রেখেছেন গ্ল্যামার। আবার কথাবার্তাও তাঁর ভীষণ বুদ্ধিমানের মতো।