Swastika Mukherjee: কোন আক্ষেপ সারাক্ষণ মাথায় কাজ করে স্বস্তিকার?

Swastika Mukherjee: অভিনেত্রীর পাশাপাশি একজন সমাজসেবিকা তিনি। অসহায় মানুষের কষ্টে তাঁর বুক কাঁপে। পশুর কষ্টে অসহায় বোধ করেন। সম্প্রতি নতুন পরিচালক অভিজিৎ দাসের ‘বিজয়ার পরে’…

Swastika Mukherjee

Swastika Mukherjee: অভিনেত্রীর পাশাপাশি একজন সমাজসেবিকা তিনি। অসহায় মানুষের কষ্টে তাঁর বুক কাঁপে। পশুর কষ্টে অসহায় বোধ করেন। সম্প্রতি নতুন পরিচালক অভিজিৎ দাসের ‘বিজয়ার পরে’ নামক ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। এই ছবিরই শুটিংয়ের ফাঁকে নায়িকা খুলে বললেন মনের কথা। বললেন, “আমি প্রচুর এনজিও-দের সঙ্গে কাজ করি। যারা পথকুকুরদের, বিড়ালদের নিয়ে কাজ করে। অন্য অনেক জন্তু-জানোয়ারদের রেসকিউ করে, তাদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। আক্ষেপ একটাই যে সকল জন্তু-জানোয়ারদের তো বাঁচানো যায় না! সাহায্য করতে চেয়েও কখনও কখনও সময়মতো কাজটা করা সম্ভব হয় না। সেটাই আক্ষেপ, যদি ওদের বাঁচাতে পারতাম।”

নায়িকা এও জানালেন যে, ট্রোলিংয়ের ভয় করেন না তিনি। সত্যের পাশে লড়তে সর্বদা প্রস্তুত নায়িকা। তাই তো এদিন সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, “কেন পোস্ট করব না বলুন তো? যেখানে এত মানুষ মারা যাচ্ছে! আমি গাজার সমর্থনেও কথা বলেছি। ইজরায়েলের হয়েও কথা বলেছি। কিন্তু শিক্ষিত হয়ে, প্রতিবেদন পড়ে… গোটা পৃথিবীর মানুষ যেখানে গাজার সমর্থনে কথা বলছে। সেখানে ইউনাইটেড নেশন থেকে একটা সিজফায়ার ভিটো হচ্ছে না! (বিস্ময়) যে অন্যায়গুলো হচ্ছে সেটা নিয়ে তো কথা বলবই। কী বলুন তো, বিতর্ক শব্দটা আমরা আসলে খুব ক্যাজুয়ালি ব্যবহার করি।”

এদিন এই যুদ্ধ বিচলিত মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারার আক্ষেপ নিয়েও কথা বললেন স্বস্তিকা। নায়িকার কথায়, “গাজায় মাসের পর মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। এত মানুষ মারা যাচ্ছে, এত শিশু প্রাণ হারিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়ছে। তাদের জন্য কিছু করা যাচ্ছে না। শুধু বার্তাটা পৌঁছে দিতে পারি যে- আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত, জানা উচিত আশেপাশের দেশ-দুনিয়াতে কী ঘটছে। কিন্তু কিছু করা তো যায় না। সেই আক্ষেপ সারাক্ষণ মাথায় কাজ করে।”