হেরেও ‘সুশান্ত এফেক্ট’ পশ্চিম মেদিনীপুরে, বনধের রোষ বাম কর্মীদের

নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে প্রবল সাড়া ফেলে নিজ এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে রোষ দেখিয়েছিলেন দাপুটে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত…

Bharat-Bandh

নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে প্রবল সাড়া ফেলে নিজ এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে রোষ দেখিয়েছিলেন দাপুটে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। তবে ভোটে শালবনী কেন্দ্রে তিনি পরাজিত হন। প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক তথা বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ডে জেল খেটে আসা সুশান্তবাবুর দাপট ফের দেখা গেল ভারত বনধে।

পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিস্তির্ণ গ্রামাঞ্চলে প্রায় খড়কুটোর মতো উড়ে যাওয়া সিপিআইএম সমর্থকরা তীব্র রোষ নিয়ে বনধে সামিল। চন্দ্রকোনা, মেদিনীপুর, শালবনি, গড়বেতায় বনধের প্রভাব পড়েছে। ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল এলাকাতেও একই ছবি। সুশান্তবাবুর খাস এলাকা লাগোয়া বাঁকুড়ার বিভিন্ন গ্রামে বনধের প্রভাবে রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ।

Susanta-Ghosh

তবে আশ্চর্যজনকভাবে সুশান্ত ঘোষ অদৃশ্য। সূত্রের খবর, তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনে সকাল থেকেই বনধ পালনে নেমেছে বাম সমর্থকরা।

সুশান্ত ঘোষ টানা ৩৪ বছরের বাম জমানার ৩২ বছরের বিধায়ক ছিলেন। বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশবছরে ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিরোধিতা ছিল চরমে। সেই সব কথা বইতে লিখে দল থেকে সাময়িক সাসপেন্ড হন। পরে বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে ফেরায় সিপিআইএম।

সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে। তবে বাম নেতা আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন নিয়েছেন। তাঁর মন্ত্রীত্বের সময়ে নেতাই গণহত্যা ঘটে। প্রবল বিতর্কিত সেই সময়। পরে নির্বাচনে বাম জমানা শেষ হয়। কিন্তু ২০১১ সালের ভোটেও জিতেছিলেন সুশান্ত ঘোষ।