Sreelekha Mitra: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কন্যাশ্রীর লোভে প্রতিবাদ করছে না ভিখিরি মানুষ: শ্রীলেখা

সল্টলেক করুণাময়ী পর্ষদ ভবনের সামনে অনশনরত ২০১৪ সালের টেট আন্দোলনকারীদের টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এর জেরে সকাল থেকে করুণাময়ী সরগরম। বাম সমর্থকদের সঙ্গে…

সল্টলেক করুণাময়ী পর্ষদ ভবনের সামনে অনশনরত ২০১৪ সালের টেট আন্দোলনকারীদের টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এর জেরে সকাল থেকে করুণাময়ী সরগরম। বাম সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর সিপিআইএম ঘনিষ্ঠ টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর(sreelekha mitra) বিস্ফোরক দাবি, ভিখিরি মানুষ প্রতিবাদ করছে না।

সকাল থেকেই নিজের ফেসবুক পোস্টে একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে চলেছেন শ্রীলেখা। বামপন্থী শ্রীলেখার পোস্টে টলিপাড়া সরগরম।

ফেসবুক পোস্টে জনসাধারণের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শ্রীলেখা। তিলি বলেন, গতকালের ঘটনার পর কেন সাধারণ মানুষ এখনও চুপ হয়ে রয়েছে? কেন কেউ কিছু বলছে না? 

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য , মানুষ আসলে ভিখিরি হয়ে গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর লোভে তারা আজ প্রতিবাদ করতেও ভুলে গিয়েছে। মেরুদন্ডটাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। মুষ্টিমেয় যারা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের ভয় দেখিয়ে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে অন্য কেউ আর গলা তোলার সাহস না পান। 

অভিনেত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, আমার লজ্জা হয়, শুধু নিজেরটুকু ভাবতে পারি না, আর সেটাই আমার খামতি। একজন মহিলা অভিনেত্রী বলেছিলেন না আমার খামতির কথা, হ্যাঁ রয়েছে, আমার খামতি আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কার্নিভ্যালে গিয়ে চকোলেট খেতে পারি না।

এর আগেও চর্চিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে কটাক্ষ করেছেন। এবার তিনি রাজ্য সরকারের প্রকল্পকে কটাক্ষ করে রাজ্যবাসীকে প্রশ্ন করলেন।

শ্রীলেখার পাশাপাশি টলিউডের একাধিক কলাকুশলী সরব। অভিনেতা ঋদ্ধি সেন ফেসবুকে লেখেন, ধিক্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশকে এক শান্তিপূর্ণ, যোগ্য আন্দোলনের গায়ে এমন বীভৎস আঘাত করার জন্য। এই জঘন্য কাজের মাশুল গুনতে হবে রাষ্ট্রকে। 

সরব হয়েছেন পরিচালক ও অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। তিনি ট্যুইট করে বলেন, তৃণমূল সরকার অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। অহিংস আন্দোলনে ১৪৪ ধারা জারি হল কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অগণতান্ত্রিক এবং অনৈতিক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তবে তাঁকে তৃ়নমূল ঘনিষ্ঠ বলে পাল্টা কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।