Shankar: ‘এরা সেটে এসে রিলস বানাচ্ছে। ডিরেক্টর কী বলছে সেটা শুনছে না। এরপর যখন বলবে ডিরেক্টর শ্যুট শুরুর কথা, তখন যেন আকাশ থেকে পড়বে। আসলে কিছুই তো শোনেনি। একটু যে সেটে আসার আগে স্ক্রিপ্ট পড়বে, তারও কোনও বালাই নেই। এখন টিআরপি বলে একটা বস্তু হয়েছে। সেটা বাড়লেই মনে করবে ওদের জন্যই হয়েছে।’ তরুণ প্রজন্মের রিলের চোটে ক্ষেপে লাল হয়ে গেলেন শঙ্কর চক্রবর্তী।
জুনিয়রদের প্রতি সিনিয়রদের সম্মান না করার অভিযোগ তুলে আরও রেগে অভিনেতা বললেন, ‘এখন সিনিয়রদের সম্মান করার বিষয়ও নেই। বিশেষ করে নতুন অভিনেতা -অভিনেত্রীদের। হয়তো সামনে বসে আছেন সিনিয়র অভিনেতা তার সামনে পা তুলে দিচ্ছে। সামান্য সৌজন্যবোধ নেই।’
আসলে, বর্তমানে রিলেই খ্যান্ত তরুণ সমাজ। টিভিতে বসে সিরিয়াল দেখার চেয়ে স্মার্টফোনটি খুলে সিরিয়ালের অভিনেত্রীদেরই রিল দেখায় বিশ্বাসী তাঁরা। এখন তো রটনা রয়েছে, যার ফলোয়ার বেশি তার টাকা বেশি। ইন্ডাস্ট্রির প্রজেক্টেও সবার আগে তাঁকেই টাকা হবে। এমন চলতে থাকলে বর্ধিষ্ণু অভিনেতারা আর কতদিন। রেগে গিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘কোনওরকমে টিকে আছি। বাবা-কাকা-জ্যাঠার চরিত্রে লোক লাগবে বলে আছি আর কী। তবে বাজেট দিনদিন যা হচ্ছে, তাতে একটু বেশি টাকা চাইলেই এরা বাদ দিয়ে দেবে।’
একসময়কার সিনেমার ভিলেন এখন সিরিয়ালেই কাজ করছেন। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে একগুচ্ছ জনপ্রিয় সিরিয়াল। যেমন, ওগো বধু সুন্দরী, তোমায় ছাড়া ঘুম আসেনা মা, ভালবাসা ডট কম, এই ছেলেটা ভেলভেলেটা, চোখের তারা তুই, পটল কুমার গানওয়ালা, কুসুম দোলা, কুন্দ ফুলের মালা।