নিউজ ডেস্ক: এক কথায় বলতে গেলে অসাধ্যসাধন করলেন বিজ্ঞানীরা এই প্রথম কোন পশুর কিডনি মানুষের দেহে বসানো হল। আমেরিকার নিউইয়র্কে ব্রেন ডেথ হওয়া এক রোগীর শরীরে বসানো হয়েছে শুয়োরের কিডনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচার ১০০ শতাংশ সফল। মানুষের শরীর শুয়োরের কিডনি গ্রহণ করেছে। প্রতিস্থাপিত কিডনি তার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছে।
নিউ ইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যানগন হেলথ ট্রান্সপ্লান্ট ইন্সটিটিউট হাসপাতালে প্রথম মানুষের দেহে পশুর কিডনি প্রতিস্থাপিত হল। ব্রেন ডেথ হওয়া ৫৪ বছরের এক মানুষের শরীরে বসানো হয়েছে শুয়োরের কিডনি। অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সদ্য প্রতিস্থাপিত কিডনি তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে শুরু করেছে। ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর চিকিৎসক রবার্ট মন্টগোমারি বলেছেন, শুয়োরের শরীরের কিডনি, ফুসফুস, হার্টের মতো বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ায় এই কাজ করা হচ্ছে। পশুর শরীরের এইসব অঙ্গ মানুষের শরীরেও যাতে ব্যবহার করা যায় তার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গবেষণা চলছিল। প্রাথমিকভাবে শুয়োরের হার্ট ও কিডনি ইতিমধ্যেই মানুষের শরীরে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আপাতত ব্রেন ডেথ হওয়া ৫৪ বছরের এক মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপিত শুয়োরের কিডনিটি খুব সুন্দর ও স্বাভাবিক ভাবে কাজ শুরু করেছে। মন্টোগোমারি আরও দাবি করেছেন, যদি এই কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ সফল হয় তাহলে আগামী দিনে শুয়োরের হার্টও মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে।
জন হপকিন্স স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ডক্টর ডোরি সেগেভ বলেছেন, আমেরিকার একটা বড় সংখ্যক মানুষ কিডনির সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু প্রতিস্থাপনের জন্য সব সময় উপযুক্ত কিডনি খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই মানুষের শরীরে কিডনি, হার্ট, ফুসফুস যেমন হয় ঠিক সেভাবেই কৃত্রিম পদ্ধতিতে জিনবিদ্যার সাহায্যে এই ধরনের অঙ্গ তৈরি করে শুয়োরের শরীরের সেগুলির বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে। গবেষণাগারে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এ ধরনের শুকর পালন করা হয়। প্রয়োজনে শুয়োরের দেহে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এই সমস্ত অঙ্গই মানুষের শরীরে ব্যবহার করা হবে।