ধর্মের জন্য গ্ল্যামার জগতকে বিদায় জানানো সানা খান (Sana Khan)সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ভিডিওর কারণে আবারো শিরোনামে। প্রায় ৫ বছর আগে গ্ল্যামার জগত ছেড়ে ইসলামের পথে হাঁটেন সানা। তবে এখনও তিনি বিভিন্ন কারণে আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন। সম্প্রতি সানা খান ও অভিনেত্রী সম্ভাবনা শেঠের (Sambhavna Seth) একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সানা (Sana Khan) সম্ভাবনাকে হিজাব পরতে বাধ্য করছেন। যদিও সম্ভাবনা বারবার অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন। এই ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পরে সানা খান ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনরা আচরণের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সানা খান (Sana Khan) অভিনয় জগৎ ছেড়ে দিলেও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি প্রায়ই ভক্তদের ধর্মীয় উপদেশ দেন। এবার রমজান মাস উপলক্ষে তিনি তাঁর নতুন অনুষ্ঠান ‘রৌনক-এ-রমজান’ নিয়ে এসেছেন। অনুষ্ঠানে সম্ভাবনা শেঠ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। ভিডিওতে সানাকে সম্ভাবনার উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, “তোমার কি ভালো সালোয়ার-কামিজ নেই? তুমি কি আমাকে চড় মারতে চাও? তোমার স্কার্ফ কোথায়?” এরপর তিনি বারবার সম্ভাবনাকে হিজাব পরার জন্য চাপ দেন, যা সম্ভাবনাকে অস্বস্তিতে ফেলে।
View this post on Instagram
সম্ভাবনাও (Sambhavna Seth) সানার জেদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “এখন তার জ্ঞান ফিরে এসেছে।” এরপর তিনি জানান, সম্প্রতি তাঁর ওজন ১৫ কেজি বেড়েছে, যার কারণে পুরানো পোশাক আর ফিট হয় না। তিনি আরও বলেন, “যারা আমাকে পছন্দ করে, তারা আমাকে আমার মতোই গ্রহণ করবে। পোশাক এখানে কোনও বিষয় নয়।”
সম্ভাবনার (Sambhavna Seth)এই উত্তর অনেক নেটিজেনদের মন জয় করেছে। তারা তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সানা খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “তুমি মুসলিম, সে নয়। তাকে বোরকা পরতে বাধ্য করার কী দরকার?” আরেকজন লিখেছেন, “সবাইকে বোরকা পরানোর কোনও প্রয়োজন নেই।” এই বিতর্কের জেরে সানা ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
সানা খান (Sana Khan) ২০২০ সালে মুফতি আনাস সাঈদকে বিয়ে করার পর চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে দাঁড়ান। বিয়ের আগেই তিনি গ্ল্যামার জগৎকে বিদায় জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাঁর পুরানো ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণভাবে ইসলামী জীবনধারা গ্রহণ করেছেন। এখন সানা দুই সন্তানের মা এবং পরিবারের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করছেন। তবে এই ঘটনায় তাঁর ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, সানা তাঁর বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।