Saayoni Ghosh: পায়ে চটি, পরনে হাতে বোনা তাঁত, হুবহু জুনিয়র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উঁচু করে চুল বেঁধে গর্বের সুরে বললেন, “ত্রিপুরায় গ্রেফতার হওয়ার পর কমলেশ্বরদার ফোন এসেছিল। বলেছিলেন, ‘তৃণমূলকে পছন্দ না, তুমি ঠিক থেকো।’’লোকসভা ভোটের প্রার্থী হতে পেরে কেমন অনুভূতি হচ্ছে সায়নীর? ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা কী বলছেন। উত্তরে হেসে বললেন, টলিপাড়ার সবাই বেশ খুশি। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী তো সায়নীর রাজনীতিতে আসার বিষয়টি খুব সাপোর্ট করেছেন। রাজের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে অভিনেত্রী যোগ করলেন, রাজের জন্যই তিনি আজ এখানে। রাজনীতিতে আসার নেপথ্যেও রয়েছেন রাজ চক্রবর্তী।
আসানসোলে তো হেরে গিয়েছিলেন। এখন আবার লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েছেন। সায়ন্তিকা ব্যানার্জি তো টিকিট না পেয়ে তো অভিমানী। সে জায়গায় তিনি এত ভালো জায়গা পেয়েছেন। তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কি সায়নীকে নিয়ে অনেক উচ্চ চিন্তাভাবনা রাখেন! উত্তরে নায়িকা বললেন, ‘আসানসোলে হেরে যাওয়ার পরে মমতাদি বলেছিলেন, ‘আমি তোমায় চিনে নিয়েছি’। অভিষেক বলেছিল, ‘বড় সাংগঠনিক দায়িত্ব দেব।’আসলে দলের মধ্যে অসুবিধা থাকতেই পারে। তাও নিজেকে গুছিয়ে নিতে হয়। সগর্বে উত্তর দিলেন দলের গণ্ডগোল নিয়ে।
মিমি তো রাজনীতির বাইরে বেড়িয়েছেন। সে প্রসঙ্গে কী মত সায়নীর। উত্তরে তিনি বললেন, ”মিমি পদত্যাগ করে বলল ‘কাজ করতে পারছি না’, ওর স্পষ্টবাদিতাকে সাধুবাদ। বাইরে থেকে দলের সমস্যার সমাধান হয় না। সমস্যা সব দলেই আছে। মিমির সমস্যা হয়েছে, মিমি বলেছে। আমি বাইরে দল নিয়ে অভিযোগ করব না। জানি কেউ গুছিয়ে দিয়ে যাবে না।”